বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo
বাজার মনিটরিংয়ের তাগিদ ব্যবসায়ীদের

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা

প্রকাশিত - ১৬ আগস্ট, ২০২৪   ০৮:৫৩ পিএম
webnews24

 

আরাফাত দাড়িয়া : নতুন সরকার গঠনের পর থেকে বাজার পরিস্থিতির লাগাম কিছুটা টানতে শুরু করেছে। তবে কয়েকটি স্থানে এখনও দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি; আবার তুলনামূলক কমেছে কয়েক স্থানে। ক্রেতারা পণ্যমূল্য হাতের নাগালের মধ্যে ফিরে পেতে চান। অনেকেই মনে করছেনÑ জনজীবনে স্বস্তি নিশ্চিত করতে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।
সরকারের পতনের পর রবিবার থেকে বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে দাম কমার খবর দিয়েছেÑ তার প্রতিফলন বাজারে দেখা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মোহাম্মদপুরের কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ, মুরগী থেকে শুরু করে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ফলে ক্রেতারা বাজার করতে এসে স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগী, মাছের দাম কমেছে।’ নুরজাহান বেগম নামের এক গৃহীনি বললেন, ‘আমি কয়েক পদের মাছ কিনলাম, দেখি এক সপ্তাহের আগের চেয়ে কিছুটা দাম কম।’ 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগে ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিলো ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সেটি কাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায়। ছোট কই মাছ আগে ছিলো ২৪০ টাকা আর বড় কই ২৮০ টাকা, কাল সেগুলো বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ২০০ ও ২৩০ টাকায়। সবজির দামও কমতে শুরু করেছে। পেঁপে ৪০, শশা ৮০, টমেটো ১২০, আলু, ৫৬, পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজনও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়। তবে এসব পণ্যের দাম আরো কমবে বলে জানালেন বিক্রেতারা। 
এ প্রসংগে ঢাকা উদ্যানের এক সবজি বিক্রেতা ফারুক আলম বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের কম দামে পণ্য বিক্রি করায় তারাও বেশ খুশি। আমাদেরই বা কি করার, যখন কিনতে হয় বেশি দামে; তখন বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’ মাছ বিক্রেতা নিয়াশা বৈশ্য বলেন, ‘বাজারে একটা সিন্ডিকেট আছেÑ যারা কোনভাবেই দাম কমায় না। তাছাড়া পণ্যবাহী বাহনগুলোকে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা দিতে হতো। এখন তো সেই চাঁদা নেই; সিন্ডিকেটও নেই তাই দাম কমতে শুরু করেছে।’ 
বাজারে এখনো অস্থিরতা কাটেনি চালের মূল্যে। মোটা চাল বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা, মাঝারি মানের মোটা চাল বেড়েছে চার  টাকা। নাজিরশাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, সরকারের উচিৎ বাজারে মনিটরিং করা। বাজারের অস্থিরতা কমাতে বাজার মনিটরিং করার কথা থাকলেও এখনো দৃশ্যমান হয়নি।’ এদিকে টাউন হলের সবজি বিক্রেতা সুজন মন্ডল বলেন, ‘আন্দোলনের শুরু থেকেই বেচাকেনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এখন সব ঠিকঠাক হচ্ছে। খাদ্যমূল্য কিছুটা চড়া থাকলেও আশা করছি এটা বেশিদিন থাকবেনা।’ 
জিনিসপত্রের দাম খবর পেয়ে অবশ্য ক্রেতারা ভিড় করেছেন বাজারে। তবে এখনো অনেক পণ্যের দাম বাড়তি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন কয়েকজন। এদের মধ্যে শীলা আহমেদ বাজার করতে এসে রীতিমত ক্ষোভ ঝাড়লেন, ‘দেখুন কিছু কিছু সবজি তো হাতই দিতে পারছিনা। মসলার দাম কমেনি। তেলের দামও কমেনি। তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমলো কোথায়। নতুন সরকার এসেছে আমরা চাই জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারদের একটু স্বস্তি দিক। স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের আর কিছু চাওয়া নেই।’ 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন