বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

খাতুনগঞ্জে ৪ দেশের পেঁয়াজ কমতে শুরু করেছে দাম

প্রকাশিত - ২০ আগস্ট, ২০২৪   ০৭:৩৯ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট : পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সব সময় ভারতনির্ভর বাংলাদেশ। ভারত কোনো কারণে রপ্তানি বন্ধ করলে কিংবা দেশে কোনো সংকট তৈরি হলেই বাড়ে পেঁয়াজের দাম। চলতি বছর ভরা মৌসুমেও দেশে পেঁয়াজের দাম ছিল চড়া। এখনো একশ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে খেতে হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিশর থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে। দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বড় ব্যবসায়ীরা এলসি খোলা বন্ধ করে দিলে ছোট আমদানিকারকরা পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলেন। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই ওইসব দেশের পেঁয়াজের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে চলে আসে। এরই মধ্যে বন্দর থেকে খালাস নিয়ে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ বাজারে ছেড়েছেন। তাতেই কমতে শুরু করেছে দাম। খাতুনগঞ্জের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯২ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৫৫, মিশর থেকে আসা পেঁয়াজ ৭০ এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বলেন, চলতি মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হয়েছে। তারপরেও ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো বাজারে আছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি পাকিস্তানি পেঁয়াজ বেশি চলছে। তিনি বলেন, আগে বড় অনেক ব্যবসায়ীর জন্য ছোট আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারতেন না। গত মাসে ছোট অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। এলসির এসব পেঁয়াজ চলে আসায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমছে।
খাতুনগঞ্জের লামার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ী বাইরের অন্য দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাজারে বেচাকেনা কম। খাতুনগঞ্জে এখনো খরিদদারও কম। পুরোদমে ব্যবসা জমে ওঠেনি। ভারত বাদে বাইরের যেসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে সেগুলো হয়তো ধারাবাহিক আমদানির সম্ভাবনা কম।
কাস্টম সূত্র বলছে, চলতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ২ হাজার ৮৩২ টন পেঁয়াজ শুল্কায়ন ও খালাস হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসা ১ হাজার ৯৩৩ টন, চায়না থেকে ৫৮০ টন, মিশর থেকে ৩১৪ টন এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা ৫ টন পেঁয়াজ রয়েছে।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন