প্রভাত সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম : দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে আরও একটি বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন এবং একটি ব্রুড মাছের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় জোয়ারের সময় মৃত ডলফিন এবং মা মাছটি দেখা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে হালদা নদীতে আজিমের ঘাট এলাকায় জোয়ারের সময় একটি মৃত ডলফিন ও একটি ব্রুড মাছ ভেসে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে আমাকে ছবি তুলে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে গত সাত বছরে (২০১৭ সাল থেকে ২৫ জুন ২০২৪ পর্যন্ত) হালদা নদী থেকে ৪২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হলো। চলতি বছর মৃত ব্রুড (প্রজননক্ষম) মাছ উদ্ধার করা হয়েছে মোট ছয়টি।’
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সূত্র জানিয়েছে, গত দশ দিনে হালদা নদীতে ছয়টি ব্রুড মাছ (একটি রুই এবং পাঁচটি কাতলা) ও দুটি ডলফিনের মৃত্যু হালদার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি অশনিসংকেত। সোমবার (১ জুলাই) রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মৃত কাতলা ও একটি ডলফিন জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এর আগে, রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১টার দিকে আজিমের ঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের (দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৮ সেন্টিমিটার) আরও একটি মৃত কাতলা ব্রুড মাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৮ জুন হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকা থেকে দুটি কাতলা ব্রুড মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। একটা ওজন ১০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৫৮ সেন্টিমিটার, অপরটির ওজন ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম দৈর্ঘ্য ৯৮ সেন্টিমিটার।
গত ২৬ জুন রাউজান উরকিরচর বাকর আলী চৌধুরী ঘাট এলাকায় ১০ কেজি ওজনের একটি মা রুই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তার কয়েক দিন আগেও ১২ কেজি ওজনের একটি মা কাতলা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।
এদিকে, হালদা নদীর গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় রয়েছে।