বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

নানা আয়োজনে রাবি’র ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত - ০৭ জুলাই, ২০২৪   ১২:১৫ এএম
webnews24

প্রভাত  প্রতিবেদক : নানা আয়োজন ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে ‘সাফল্যের সোপানে ৭১ বছর’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত কর্মসূচির শুরুতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এসময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম  ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা এবং প্রাধ্যক্ষবৃন্দ নিজ নিজ হলের পতাকা উত্তোলন করেন।

সেখানে ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অধিকর্তা, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজন উদ্বোধন করে উপাচার্য বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনন্য। জ্ঞানকে শানিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজশাহী কলেজের পরেই রাজশাহীতে আমাদের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা ৭১ বছর অতিক্রম করেছি। আমরা প্রশাসনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই চেষ্টা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের সকলের এই প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে হৃদয়ে ধারণ করার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। আমরা মূল কাজ থেকে অনেকটা বিচ্যুৎ হয়ে গেছি। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়কে হৃদয়ে ধারণ করে সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এর মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, যাদের অর্থের বিনিময়ে, শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের প্রতি আমরা সম্মান জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠাকালে তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, উন্নত শিক্ষা ও গবেষণামুখী এবং সংস্কৃতিবান্ধব একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হোক। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ্য জনশক্তি গড়ে উঠুক এবং তারা দেশ ও বিশ্ব গড়ার কাজে নিয়োজিত হোক।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, সকলের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অনেকটা এগিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩১ সালের মধ্যে ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরকম আরও অনেক সাফল্য আছে। সেসব সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যেতে হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। উদ্বোধনের পর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যবৃন্দ ও কোষাধ্যক্ষ সিনেট ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।
প্রভাত/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সংবাদ সম্মেলন