প্রভাত রিপোর্ট : সরকার কোটার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
এ সময় সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুমসহ আরও পাঁচজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু-তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা এরই মধ্যে পূরণ করেছে সরকার। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। এ মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
প্রভাত/টুর