• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নকশা না মানা ভবনের বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে রাজউক নতুন রাজনৈতিক দলের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠন ইসির ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের ‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’ পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি উন্মোচন করতে যাচ্ছে রিয়েলমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আন্দোলন : রাশেদ খাঁন চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে: হাসনাত পাকিস্তানে ভারতের হামলা, সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ভীতির কোনও কারণ নাই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেদের ‘বিশ্বব্যবস্থার রক্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন করলেন পুতিন-শি

সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে খসড়া নীতিমালা

প্রভাত রিপোর্ট / ১০১ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

খসড়া নীতিমালা হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও সহায়তাকারী সুরক্ষার জন্য নীতিমালা- ২০১৮’। সড়ক দুর্ঘটনায় যারা আহত হবেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ খসড়া নীতিমালা তৈরিতে কাজ শুরু করে সরকার।

এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে আহতকে শল্যচিকিৎসা (অপারেশন) দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে আহত ব্যক্তির উপযুক্ত অভিভাবক বা আত্মীয়ের অনুপস্থিতিতে ও সম্মতি ব্যতিরেকেই প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আহত ব্যক্তির জীবননাশের আশঙ্কা থাকলে বা জীবনহানি ঘটলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে বা অবহেলা করলে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আহত ব্যক্তিকে যিনি বা যারা হাসপাতালে নেবেন তাদের কোনোভাবে হয়রানি করা যাবে না। কারণ মামলা বা হয়রানির ভয়ে অনেক সময় সাধারণ মানুষও আহতকে উদ্ধার করা বা হাসপাতালে নেওয়ার দায় দায় এড়াতে চায়।

নীতিমালায় আরো বলা হয়, আহত ব্যক্তি নিজেই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আগে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব সম্পর্কেও অবগত করা হয়েছে। তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আগে অবশ্যই আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করবেন।

নীতিমালায় আরো বলা হয়, যে হাসপাতালে নেওয়া হবে সেখানে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা সুবিধা বা সক্ষমতা না থাকলে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য লিখতে হবে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে (গোল্ডেন আওয়ার) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজ দায়িত্বে উপযুক্ত চিকিৎসা সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালে স্থানান্তর করবে।

খসড়া নীতিমালায় যা বলা হয়েছে:
১. আহতকে হাসপাতালে আনার পর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।

২. চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তির অবহেলা বা শৈথিল্য অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন/লাইসেন্স/অনুমতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।

৩. নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সেলও গঠন করবে সরকার।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাকির হোসেন রিপন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের ওই কপি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। কোর্টের অবকাশ শেষ হলে আশা করি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিষয়টি আদালত চূড়ান্ত করবেন। এরপর আদালতের নির্দেশনা সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আদালতে দাখিল করা নীতিমালা বিচারপতিরা পর্যালোচনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত জানার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন আদালত। এরপরই তা চূড়ান্ত আকারে সরকার প্রকাশ করতে পারে বলে জানা গেছে।

হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে দেশের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসককে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং চিকিৎসা না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কোথায় অভিযোগ করবে সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে সরকারকে নির্দেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও