• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গাইবান্ধায় জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের বাজার এপ্রিলে ঢাকায় শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিডা অর্থবছরের আট মাসে এডিপি ব্যয় এক দশকে সর্বনিম্ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তুলা ব্যবসায়ীদের বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা দেবে সরকার এবার কমলা, আপেল, নাশপাতি ও আঙুরে শুল্ক হ্রাস সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানো নিয়ে ভারতে ব্যাপক সহিংসতা, কারফিউ মুঠোফোনে হিজবুল্লাহ নেতার ছবি, চিকিৎসককে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র গাজার পাশাপাশি সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল গাজায় যে কারণে ধসে পড়ল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল: হোয়াইট হাউস

পাকিস্তানে হামলার শিকার ট্রেনে চলছে অভিযান, উদ্ধার ১৫৫ জন

প্রভাত রিপোর্ট / ১৪ বার
আপডেট : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ট্রেনে অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (১২ মার্চ) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের অভিযানে অন্তত ১৫৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার ও ২৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এ খবর জানিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের জিম্মি করে রাখায় অতি সতর্কতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৩৭ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তারা কীভাবে আহত হয়েছে, তা নিশ্চিত করা যায়নি। রেডিও পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ট্রেনের ভিন্ন তিন স্থানে নারী ও শিশুদের জিম্মি করে রেখেছে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা। গত মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দূরবর্তী মাশাকাফ টানেলের কাছে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জাফার এক্সপ্রেস ট্রেনের দখল নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ চার শতাধিক যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটি এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে হামলার শিকার হলেও ধাদার এলাকার বোলান পাসে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত মোট হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রেনচালক ও আট নিরাপত্তা সদস্য গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
পাকিস্তানে এর আগে কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুরো ট্রেন জিম্মি করার নজির নেই। ফলে, এই ঘটনায় সবাই হতবাক হয়ে পড়ে। এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ। অনেক মানুষকে জিম্মি করার দাবি করে ওই বিবৃতি দেয় তারা। অবশ্য পরবর্তী এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, নারী-শিশুসহ অনেক জিম্মিকে তারা মুক্তি দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কোনও দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি ডন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। পাকিস্তানি থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও