• শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাত্র ১২০ টাকা আবেদন ফিতে স্বপ্নের সরকারি চাকরি পেলেন পিরোজপুরের ১৫ জন তরুণ রাকসু ও চাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্যাতন-দুর্ভোগ পেরিয়ে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৬ বাংলাদেশি আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ আলাদা করল সরকার একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে একমাস সংসদ ভোটের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ মানবাধিকার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলো ইইউ প্রতিনিধিদল রাজনীতিতে উত্তাপ, আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে ইসলামি সাত দল আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

ভালুকায় ঋতুরাজ বসন্তে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল

প্রভাত রিপোর্ট / ৮৪ বার
আপডেট : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা : ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে বাংলার প্রকৃতি লাল-হলুদের বাহারে সেজেছে। গাছে গাছে পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল ফুলের সমারোহে মুখরিত গ্রামীণ জনপদ। তবে কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছসহ প্রকৃতির কিছু বৈচিত্র্য, যা বসন্তের রূপকে ম্লান করছে বলে জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। বসন্তের সূচনায় প্রকৃতিতে দেখা মিলছে নানান রঙের খেলা। কোকিলের কুহু ধ্বনি, মৌমাছির গুঞ্জন আর ফুলের সুবাসে গ্রামাঞ্চলের পথ-প্রান্তর যেন উৎসবমুখর। ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পলাশ-কাঞ্চনের পাশাপাশি শিমুল ফুলের লাল আভায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। কাঠালী ইউনিয়নের মাঠেঘাটে রক্তলাল শিমুল ফুলের দৃশ্য পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে। তবে গ্রাম বাংলার চিরচেনা শিমুল গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। পরিবেশবিদদের মতে, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে এই গাছ। শিমুল সাধারণত নিজে থেকে জন্মালেও রোপণে অনীহার ফলে এর সংখ্যা কমছে। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আগে বসন্তে শিমুল ফুলে আকাশ লাল হয়ে থাকত। এখন গাছ কমে যাওয়ায় সেই দৃশ্য বিরল।”
ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা আশিকুর রহমান ইমরান বলেন, “শিমুল, পলাশ আর কাঞ্চন ফুলের মেলা না দেখলে বসন্ত অসম্পূর্ণ। প্রতিটি ফুলের রঙ ও গঠন যেন প্রকৃতির অনন্য নৈপুণ্য।”
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও দূষণের প্রভাবে ঋতুচক্রের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন তারা। “শিমুলের মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ রক্ষা করা গেলে বসন্তের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। এজন্য সামাজিক সচেতনতা জরুরি।”
প্রকৃতির এই উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে বৃক্ষরোপণ ও বন ধ্বংস রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। অন্যথায়, ভবিষ্যতে বসন্তের রঙিন আবেশ শুধু স্মৃতিতেই থাকতে পারে বলে উদ্বেগ তাদের।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও