প্রভাত রিপোর্ট
ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন লাখো মানুষ। ঘরমুখো মানুষকে প্রতিবছরই ট্রেনে ঈদযাত্রায় নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তবে এবারের চিরচেনা সেই চিত্রে পরিবর্তন এসেছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ট্রেন ছাড়ছে, আর যাত্রীদের জন্য যাত্রা হয়েছে আগের চেয়ে স্বস্তিদায়ক। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রেন ছাড়ার আগেই যাত্রীরা স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছেন। তবে আগের মতো প্রচণ্ড ভিড় কিংবা বিশৃঙ্খলার দৃশ্য চোখে পড়েনি। প্ল্যাটফর্মের বাইরের অংশে কিছুটা ভিড় থাকলেও, ভেতরে কেবল টিকিটধারী যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে, ফলে অবৈধভাবে কেউ স্টেশনে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে না। এতে স্টেশনের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
অতীতে দেখা গেছে, ট্রেনের ছাদেও মানুষ উঠে যেত, যা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ। তবে এবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। প্ল্যাটফর্মের প্রবেশপথেই কঠোর নজরদারি থাকায় টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে ঢুকতে পারছেন না। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, যাতে নির্ধারিত যাত্রীসংখ্যার চেয়ে কিছুটা বেশি মানুষ ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ পান। ফলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকলেও ট্রেনের ছাদে ওঠার চিরচেনা বিশৃঙ্খল দৃশ্য এবার দেখা যাচ্ছে না। এবারের ব্যবস্থাপনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। প্লাটফর্মে আসা একাধিক যাত্রী বলেন, ট্রেন উঠতে ঝামেলা হবে বলে আগেই স্টেশনে এসে উপস্থিত হয়েছি। তবে এসে কোনও ভিড় দেখা যায়নি। টিকিটধারীরা সাচ্ছন্দ্যেই ট্রেনে চড়ছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে এবং কোনও ট্রেনই বিলম্ব হয়নি। সকালের কিছু ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কমে এসেছে।