• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় ডোবায় ঝাঁপ দিলেন কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২ ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ: কোন কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কতজন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে যেতে হলে সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন: আমীর খসরু বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত : আলী রীয়াজ নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে এনসিপি নেতাদের আপ্যায়ন করলেন কৃষক ইসির ‘ব্যালট’ প্রকল্পে ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জাপান ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপে এক পা বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে যেন কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে : তারেক রহমান

মার্চে রপ্তানি হয়েছে ৪২৪ কোটি ডলারের পণ্য

প্রভাত রিপোর্ট / ৪৩ বার
আপডেট : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত অর্থনীতি: বাংলাদেশ থেকে গত মার্চ মাসে ৪২৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ৫১ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতি মাসের শুরুতে পণ্য রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে থাকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। কিন্তু সংস্থাটি গতকাল রোববার পর্যন্ত গত মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩৮১ কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য। আর এনবিআরের হিসাবে, গত মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪২৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি। সেই হিসাবে গত বছরের মার্চ মাসের তুলনায় এবার রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সাধারণত ঈদের ছুটির আগে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। ঈদে ৭ থেকে ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটি থাকে। ফলে ছুটির মধ্যে ও তার পরপর যেসব ক্রয়াদেশের পণ্য জাহাজীকরণের বাধ্যবাধকতা থাকে, সেগুলো ছুটির আগেই শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঈদের ছুটি শেষে কারখানাগুলো যখন খুলছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাল্টা শুল্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাঁরা পণ্য রপ্তানি করেন, তাঁরা দুশ্চিন্তায় আছেন। প্রতিযোগী দেশ ভারতের ওপর এই শুল্কের হার ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ শতাংশ; যদিও চীনকে দিতে হবে ৩৪ শতাংশ (মোট শুল্ক ৫৪) ও ভিয়েতনামকে দিতে হবে ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি ৬১৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক। আর সেই পোশাক রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরের বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পোশাকের পাশাপাশি এই বাজারে যাঁরা জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও হিমায়িত খাদ্য পণ্য রপ্তানি করেন, তাঁরাও উদ্বেগে আছেন।
তৈরি পোশাক, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকেরা জানান, পাল্টা শুল্কের কারণে ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে। বাড়তি শুল্কের ক্ষতি পোষাতে মূল্যছাড় দাবি করছে তারা। আগামী দু-এক দিনে এমন ঘটনা আরও বাড়বে বলেই তাঁদের শঙ্কা।
ইপিবির প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে, অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও