আজ
|| ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
আহত ফিলিস্তিনি হয়ে যোগ দেয় শিশুরা
প্রকাশের তারিখঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: গাজায় চলমান সহিংসতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন লাখো সাধারণ মানুষ। নারী-শিশু থেকে শুরু করে গণজমায়েতে যোগ দিয়েছেন সব বয়সী মানুষ। তবে এই গণজমায়েতে সবার দৃষ্টি কেড়েছে একদল শিশু। তারা কেউ মাথায় ব্যান্ডেজ, কেউ হাত-পা বেঁধে এসেছে, কেউবা হাতে করে নিয়ে এসেছে ছোট কফিনে মোড়ানো ‘শিশু লাশ’। এভাবেই ‘আহত ফিলিস্তিনি’ সাজে মিছিলে অংশ নিয়েছে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশু শিল্পীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে শাহবাগ মোড় ও আশপাশের এলাকায় এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ দেখা যায়। শিশুরা সাদামাটা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তুলে ধরে গাজার শিশুদের যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবতা। একজন শিশু বাবা সেজে কাঁধে করে নিয়ে আসেন নিজের সন্তানের প্রতীকী মরদেহ। এসব দৃশ্য দেখে অনেক পথচারী আবেগে কেঁপে ওঠেন, কেউ কেউ ফেলেছেন চোখের পানি। আবার এমন দৃশ্যে কেউ বা গগনবিদারী চিৎকারে দিচ্ছেন নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর স্লোগান। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর এক শিল্পী বলেন, ‘গাজার শিশুদের দুঃখ-কষ্ট আমরা আমাদের শিশুদের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি। তাদের অভিনয়ই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।
আরিফুল ইসলাম নামক এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেটা যখন কফিন হাতে দাঁড়িয়ে ছিল, আমার নিজের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। তবে আমি মনে করি, এটা একটা জরুরি বার্তা—আমরা চাই বিশ্ব যেন বুঝে গাজার শিশুদের ওপর কী ভয়ঙ্কর অবিচার চলছে। ৯ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারী শিশু রাফি বলে, আমাকে বলা হয়েছিল আমি একজন শহীদ ভাইকে কাঁধে নিচ্ছি। তখন মনে হচ্ছিল আমি সত্যি সত্যি গাজার কারও লাশ ধরে আছি। শিশুদের এই প্রতীকী অংশগ্রহণ কর্মসূচিতে উপস্থিত মানুষদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, মিছিলে অনেক স্লোগান শুনি, কিন্তু আজকের এই শিশুরা চুপ থেকেও যে বড় বার্তা দিয়ে গেল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়, যেন গাজায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা যায়।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.