আজ
|| ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয় : রিজভী
প্রকাশের তারিখঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গর্ব, অর্জন ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয়। দেশের সংস্কৃতির ঐতিহ্য আমরা পদ্মা মেঘনার মতো বহমান রাখবো। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে পুরে যাওয়া ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পরিদর্শন কালে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের প্রকাশ ঘটবে না। মত ভিন্নতা থাকতে পারে থাকতে পারে কিন্তু দেশ ও মানুষের স্বার্থে মত প্রকাশের জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। রাষ্ট্রের সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এখন যতটা সম্ভব করা যায় হবে, আবার নির্বাচিত সরকার এলে তারা বাকিটা করবেন। এটাই হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে মুক্ত বাতাস তৈরি হয়েছে। মুক্ত পরিবেশে আমরা প্রাণবন্ত গণতন্ত্র পাওয়ার অপেক্ষা করছি।
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বহুদিনের প্রত্যাশা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। যে দাবি আদায় করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী, সুমন সহ আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেশে মানবিকতা, ন্যায়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। শেখ হাসিনা পুরো দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আদালতকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছিল। এ অবস্থা থেকে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
দেশে এই মূহূর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যেখানে গণতন্ত্র থাকে সেখানে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা সমৃদ্ধশালী হবে । যেখানে গণতন্ত্র থাকবে সেখানে কেউ আগুন দিয়ে কোন কিছু পুড়িয়ে ফেলার সাহস পাবে না। যেখানে সবাই নির্মাণ করবে। ধ্বংস করবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ফ্যাসিবাদের আক্রমণের যে বহিঃপ্রকাশ দেখলাম এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকরা কষ্ট করে দুর্দান্ত কাজ করে যাচ্ছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, মীর শরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম,ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.