• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নকশা না মানা ভবনের বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে রাজউক নতুন রাজনৈতিক দলের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠন ইসির ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের ‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’ পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি উন্মোচন করতে যাচ্ছে রিয়েলমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আন্দোলন : রাশেদ খাঁন চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে: হাসনাত পাকিস্তানে ভারতের হামলা, সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ভীতির কোনও কারণ নাই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেদের ‘বিশ্বব্যবস্থার রক্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন করলেন পুতিন-শি

পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রভাত রিপোর্ট / ৩২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: পেঁয়াজের ভরা মৌসুম হলেও রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। গত শুক্রবারও ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। তবে পহেলা বৈশাখের পরপরই তা বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের এখন ভরা মৌসুম। তবে আড়তে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। ঢাকায় সব থেকে বেশি পেঁয়াজ আসে ফরিদপুর থেকে। ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার বাজারে তার প্রভাব পড়ছে।
মালিবাগ হাজীপাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, রবিবার আমরা হালি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম। তবে গত দুই দিনে পাইকারিতে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গতকালকেও ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। তবে পাইকারিতে আজ যে দামে কিনেছি তাতে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কেজিতে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। শুক্রবার একই বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হয়। অর্থাৎ তিনদিনের ব্যবধানে এখানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
রামপুরায় দোকানদার আল আমিন বলেন, হঠাৎ করেই আড়তে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত দুই দিনে আড়তে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকার ওপরে বেড়েছে। পাইকারিতে দাম বাড়ায় আমরাও বাধ্য হয়েছি দাম বাড়াতে। কেননা, বেশি দামে কিনে তো আর কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, এখন পেঁয়াজের মান খুব ভালো। এই পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখা যাবে বহুদিন। আমাদের ধারণা, পেঁয়াজ ইতোমধ্যে মজুত করা শুরু হয়ে গেছে। পাইকারি মোকাম ও আড়তেও এখন থেকেই নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবে।
শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ টাকা। আর বাছাই করা ভালো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। গত শুক্রবারেও এই বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি ছিল। আর নিম্নমানের পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ টাকা। অর্থাৎ বাজারটিতে তিনদিনের ব্যবধানে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। আসলাম নামের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, কম দামে পেঁয়াজ খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও বাড়বে। শুক্রবার বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়, আজ তা ৬৫ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই পেঁয়াজ কিনে মজুত করা শুরু করে দিয়েছেন। আবার খাওয়ার জন্যেও অনেকেই এখন থেকেই বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রাখছেন। কেননা, এখন বাজারে খুব ভালো মানের শুকনো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সহজে এই পেঁয়াজ নষ্ট হবে না। তবে পেঁয়াজের বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কারণেই এখন দাম বাড়ছে।
শান্তিনগর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সুলাইমান হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেই বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা করে কিনেছি। আজ ৬৫ টাকা কেজি চাচ্ছে। এ কয়েকদিনে পেঁয়াজার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গেলো। তিনি আরও বলেন, এখন তো দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। তাহলে এখন কেন এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়বে? আসলে বাজারে এখন মনিটরিং নেই, এ কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত বাজারে নজরদারি বাড়ানো, তা না হলে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবে। এর আগেও আমরা দেশে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে দেখেছি। এই সরকারের এখনই পেঁয়াজের বাজারে নজরদারি বাড়ানো উচিত।
এদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এবার পেঁয়াজের মৌসুমে উৎপাদন কম হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও