আজ
|| ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রংপুরে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
প্রভাত সংবাদদাতা, রংপুর: রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সেইসঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুনসহ কিছু সবজির দাম। তবে দাম কমেছে আলু, ডিম ও পোলট্রি মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১৫-২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ২৫-৩০ টাকা, ঝিংগা ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, সজনে ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-১০০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য কমে ১৫-১৮ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সিটি বাজারের ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, অনেকেই পেঁয়াজ ঘরে সংরক্ষণ শুরু করেছেন। এ কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা থেকে কমে ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা, রসুন ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০-১২০ টাকা।
লালবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, সবজি বাজারে ঈদের প্রভাব শেষ হয়েছে। চাহিদার তুলনায় যেসব সবজির সরবরাহ কম, সেগুলোর দাম বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কমে ২৬০-২৮০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি গত সপ্তাহের দরেই ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.