• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

বাজারে রসুনের কেজি ১২০ টাকা

প্রভাত রিপোর্ট / ৬ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত সংবাদদাতা, দিনাজপুর: দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে রসুনের ভালো ফলন হয়েছে। জমি থেকে রসুন তোলা, বিক্রির জন্য প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। তবে গতবারের চেয়ে দাম একটু কম পাওয়ায় অখুশি অনেকে। মৌসুমের এ সময়ে রসুন আমদানি বন্ধ থাকলে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন চাষিরা। যদিও এরই মধ্যে বাজারে রসুনের কেজি ১২০ টাকা হয়ে গেছে। তবে সেই দাম তারা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রসুনকে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সাদা সোনা বলে থাকেন। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় মশলাজাতীয় এই পণ্যের চাহিদা ও দাম থাকে সবসময় বেশি। দেশের যেসব স্থানে রসুন আবাদ হয় তার মধ্যে দিনাজপুর অন্যতম। আবাদের দিক থেকে আবার খানসামায় বেশি হয়। খানসামার কাচিনিয়া ও দক্ষিণ আগ্রা রসুনের জন্য পরিচিত। প্রায় প্রতিটি জমিতেই আবাদ করা হয়। দক্ষিণ আগ্রা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক জমিতে একযোগে চলছে রসুন তোলার কাজ। পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মাঠে। সে রসুন তুলে নেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। বাড়ি থেকে নেয়া হয় বাজারে।
আগ্রা এলাকার কৃষকরা বলছেন, এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে দাম গতবারের চেয়ে একটু কম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা গতবার এই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১১০-১২০ টাকায়। সার, বীজ, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম ওভাবে বাড়েনি। তবে কৃষকদের কাছে রসুন শেষ হলেই বাজারে দাম বেড়ে যায়। এতে লাভবান হয় মধ্যস্বত্বভোগীরা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জাফর ইকবাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চলতি বছর জেলায় তিন হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৪১ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে। তবে এখন দাম একটু কম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাম বাড়বে। কারণ সামনে কোরবানির ঈদ। কৃষকরা এই সময়টাতে রসুন শুকিয়ে রেখে দিতে পারেন। বাজারে যখন দাম বাড়বে তখন বিক্রি করবেন। সংরক্ষিত এসব রসুন পরবর্তী মৌসুমে বীজ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন তারা।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও