প্রভাত স্পোর্টস: ম্যাচের স্কোরলাইন বলছে বার্সেলোনা ভালো খেলেছে। ৩-২ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে জিতেছে কোপা দেল রের শিরোপা। তবে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটিতে লড়াইয়ের ভেতরে ছিল অনেক লড়াই। কেউ বার্সেলোনার জয়কে ত্বরান্বিত করেছেন, কেউবা রিয়াল মাদ্রিদকে ডুবিয়েছেন। আবার দল যেমনই খেলুক, ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ ভালো খেলেছেন, কেউবা মন্দ। গোলডটকমের সৌজন্যে দেখে নিতে পারেন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কে কতটা ভালো বা মন্দ খেলেছেন। প্রতি ১০ নম্বরের মধ্যে কে কত পাওয়ার মতো। প্রথমার্ধে খুব বেশি করার দরকার পড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এমবাপ্পের বিপক্ষে চমৎকার একটি সেভ করেছেন। মোটের ওপর সেভ করেছেন পাঁচটি, বল রিকভারও ৫ বারই।
ম্যাচের ব্যবধান গড়েছেন, করেছেন বার্সেলোনার জয়সূচক তৃতীয় গোল। তবে জুলস কুন্দে নিজের মূল দায়িত্বেও ভালোই করেছেন। বিশেষ করে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে একদমই জায়গা দেননি। যদিও রিয়ালের দ্বিতীয় গোলে চুয়ামেনিকে সামালও দিতে পারেননি। বল উদ্ধার করেছেন ৭ বার, হেডে বিপদমুক্ত করেছেন ২ বার।
বার্সেলোনার প্রথম গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জুড বেলিংহামের পাস থেকে কাটআউট করেছেন, যা পেদ্রির গোলে ভূমিকা রেখেছেন। এর বাইরে ৬ বার রক্ষণ থেকে বল উদ্ধার করেছেন, ৯৪টি পাস দিয়ে ৯১ শতাংশেই সফল হয়েছেন।
ভিনিসিয়ুসের কাছে একটা পেনাল্টি হজমই করে ফেলেছিলেন, সৌভাগ্যবশত অফসাইডে বেচেছেন। রক্ষণে বল উদ্ধার করেছেন ১১ বার। আবার ফাইনাল থার্ডে সবচেয়ে বেশি ১১ বার পাসও দিতে পেরেছেন। ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৫ বার বলে স্পর্শও তাঁরই।
একটা হলুদ কার্ড দেখেছেন, তবে রদ্রিগোকে অকার্যকর রাখতে ভূমিকা রেখেছেন। ৩ বার বল উদ্ধার, ৩ বার বল বিপদমুক্ত করেছেন। প্রথমার্ধে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। যে গোলের আক্রমণ তৈরির কাজও তাঁর পায়েই শুরু। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাদ্রিদের শরীরনির্ভর মাঝমাঠের সঙ্গে লড়াইয়ে বেগ পেতে হয়েছে। সুযোগ তৈরি করেছেন তিনটি। শুরুতে ভালোই করেছেন, কিন্তু পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পে তাঁকে বারবার পরীক্ষায় ফেলেছেন। তাঁর কারণেই রিয়াল ফ্রি কিক পেয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে সমতা এনেছেন এমবাপ্পে। আক্রমণভাগে খুব একটা হুমকি হতে পারেননি। ফরোয়ার্ড হলেও ফাইনাল থার্ডে পাস মাত্র একটি। এক ঘণ্টা পরই কোচ তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন। দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। প্রথমটি পেদ্রির গোলে, পরেরটি তরেসের গোলে। সব মিলিয়ে ফাইনাল থার্ড বল পাস ৭ বার। অবশ্য দুই অ্যাসিস্টের মাঝে দ্বিতীয়ার্ধের খানিকটা সময় নিষ্প্রভও ছিলেন। চোটের কারণে না থাকা রবার্ট লেভানডফস্কির অভাব পূরণ করতে পারেননি বেশির ভাগ সময়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনাকে ২-২ সমতায় আনা গোলটি তাঁর। সুযোগ তৈরি করেছেন ৩ বার। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন পোস্টের বাইরে মেরে; যার একটিও কাজে লাগাতে পারলে রিয়াল ৯০ মিনিটের খেলায় ম্যাচে ফিরতে পারত না। মোট ৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন মাত্র ৩টি। বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। তবে রিয়ালের আক্রমণের বিপক্ষে শক্ত প্রতিরোধ হতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, গোলের সুযোগও তৈরি করেছেন।