প্রভাত ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির জন্য ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে জন্য ইউক্রেনে এখন রাশিয়ার হামলা বন্ধ রাখতে আহ্বান করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া হামলা অব্যাহত রেখেছে দেখে তিনি হতাশ। শনিবার ভ্যাটিকানে জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপচারিতার প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, তাকে অনেকটা ধীরস্থির দেখাচ্ছিল। পুরো বিষয়টির গুরুত্ব তিনি বুঝতে পারছেন বলে আমার ধারণা। আমি মনে করি, তিনি চুক্তি করতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ট্রাম্প, জেলেনস্কিসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা ভ্যাটিকানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের শান্তিচুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে ক্রিমিয়ার দখল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আগেও উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে রুশ বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক দখলকৃত কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী এই ভূখণ্ডটি জেলেনস্কি ছেড়ে দেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি তো সেরকমই মনে করি। ক্রিমিয়া কিন্তু এক যুগ আগের ঘটনা।
ক্রিমিয়ার প্রসঙ্গ আসতে ডেমোক্র্যাট পূর্বসূরিদের একহাত দেখে নেয়ার সুযোগ লুফে নেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ক্রিমিয়া নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। এ নিয়ে ওবামা আর বাইডেনকে প্রশ্ন করা উচিত। এটা বাইডেনের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বেঘোরে অহেতুক প্রাণ হারাচ্ছে। আমি এই সংকটের সমাধান করতে চাই। মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী ইউক্রেনে চলমান তিন বছরের যুদ্ধ অবসানে একটি সমঝোতার খসড়া তৈরি হয়েছে। সেখানে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ মেনে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের আরও কিছু অংশে রাশিয়ার দখল মেনে নেওয়ার কথাও আছে। তবে ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয় পক্ষসমূহের পাল্টা প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির পর সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যদি ধানাই পানাই বাদ দিয়ে আলোচনার টেবিলে না আসে, তবে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ক্ষান্ত দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেছেন, ইউক্রেনে দ্রুতই চুক্তি হওয়া দরকার। আর সমাধানের লক্ষণ না থাকলে আমরা অহেতুক অর্থ ও সময় এই প্রচেষ্টার পেছনে ব্যয় করব না।