• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নকশা না মানা ভবনের বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে রাজউক নতুন রাজনৈতিক দলের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠন ইসির ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের ‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’ পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি উন্মোচন করতে যাচ্ছে রিয়েলমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আন্দোলন : রাশেদ খাঁন চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে: হাসনাত পাকিস্তানে ভারতের হামলা, সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ভীতির কোনও কারণ নাই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেদের ‘বিশ্বব্যবস্থার রক্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন করলেন পুতিন-শি

দশমিনায় কৃষি শ্রমিক সংকটে ডাল তোলা ব্যাহত

প্রভাত রিপোর্ট / ১৪ বার
আপডেট : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

নাসির আহমেদ,দশমিনা : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি জমিতে এই বছর মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতির সহজ লভ্যতা ও কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার কারণে মুগডাল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এমন ফলন হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এক সময় আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রান্তিক কৃষকরা অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন আমন ধানের পাশাপাশি বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখি, ভুট্রা ও মুগডাল চাষ করছেন। তবে ক্ষেত থেকে ডাল তোলার শ্রমিক সংকটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে। জমিতে অধিকাংশ ডাল পেঁকে যাওয়ায় ফেটে জমিতেই পড়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানায়,কৃষি শ্রমিকের সংকট থাকায় তারা ফসল তুলতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এই মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১১হাজার ৯শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় ১৮৫ হেক্টর কম। এদিকে বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখি ও ভুট্রা চাষ বৃদ্ধির ফলে মুগডাল চাষ কমেছে বলে কৃষি অফিস দাবী করছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক খলিল তালুকদার বলেন,এবার সাড়ে ১১ একর জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে তবে শ্রমিক সংকটের কারনে ডাল তুলতে পারছেন না। তাদের দাবী ঈদের ছুটির কারণে অনেক শ্রমিক কাজে আসছেন না। এই কারণে কিছু ডাল ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া গ্রামের কৃষক সংকর চন্দ্র বলেন, ঈদের আগে কৃষি শ্রমিকদের ডাল এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো। এখন শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ডালের অর্ধেকটা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান বেশী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ জানান, অনুকূল আবহাওয়া,পর্যাপ্ত সার-বীজ ও আধুনিক কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে চলতি বছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রবি মৌসুমে এখানে তরমুজের পরই বেশিরভাগ জমিতে মুগডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম দেয়ার কারণে কৃষকরা এই ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও