• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় ডোবায় ঝাঁপ দিলেন কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২ ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ: কোন কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কতজন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে যেতে হলে সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন: আমীর খসরু বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত : আলী রীয়াজ নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে এনসিপি নেতাদের আপ্যায়ন করলেন কৃষক ইসির ‘ব্যালট’ প্রকল্পে ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জাপান ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপে এক পা বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে যেন কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে : তারেক রহমান

কচুয়ায় ধানের বাজার মূল্য কম, বিপাকে কৃষক

প্রভাত রিপোর্ট / ১৫০ বার
আপডেট : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া : বাগেরহাটের কচুয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজার মূল্য কম ও সংরক্ষন অভাবে উঠতি ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। জানা গেছে,উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড জাতের ৫ হাজার ২শ হেক্টর এবং উফশী জাতের এক হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে বাধাল অঞ্চলে চলতি বোরো মৌসুমে ১২শ৩৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে হাইব্রীড জাতের ৮শ ৬৫ হেক্টর এবং উপসী জাতের ৩শ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। গত বছরে তুলনায় এবছর ধান ভাল হলেও একজন দিন মুজুরের দৈনিক বেতন ৮শ টাকা থেকে ৯শ ৫০ টাকা যা এক মন ধানের দাম তা দিয়ে ও মিলছে না এক জন দিন মজুর। কৃষক পরিবারের ছেলে-মেয়ে-গৃহবধু সহ সকলে কঠিন পরিশ্রমের পর ধান ঘরে তুলতে পারলেও কম মূল্য বিক্রয় করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সুবোধ দাস ও বর্গা চাষি রঞ্জন দাস সহ কয়েক জন স্থানীয় চাষিরা জানান, তাদের এক বিঘা (৬২ শতক) জমির মুল্য বাবদ জমির মালিকে টাকা এবং ধান বীজ, চাষাবাদ, সার ওষুধ, কাটা মাড়াই সহ ঘরে তুলতে খরচ ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বাজারে হাইব্রীড ধান প্রতি মন ৮শ ৫০টাকা থেকে ৯শ ৫০টাকা দরে বিক্রয় করে লোকসান হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, আমরা অন্যের জমি বর্গা রেখে ধান চাষ করি এবং বিক্রয় করে ধার-দেনা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু আমর ন্যায্য মূল্য পাই না। সরকারি ভাবে যে সময় ধান ক্রয় করা হয় তখন কৃষকের নিকট ধান থাকে না। বাধাল বাজারের ধান ব্যবসায়ী সোবাহান ও জীবন দাস জানান, আমরা ধান ক্রয় করে অটোমিলে বিক্রয় করি সেখা নেই বাজার মূল্য কম। তবে সরকারী ভাবে ধান ক্রয় শুরু করলে বাজার মূল্য বাড়বে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রভাষ দাস বলেন, আমরা কৃষকদের কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এছাড়া তাদেরকে চাষের পদ্ধতি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। সময়মত সার বীজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ছাড়াও জমিতে সেচের ব্যবস্থা গ্রহন করায় চলতি বোরো মৌসুমে ফসল ভাল হয়েছে। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষক লাভবান হবেন। এবছর সরকারি ভাবে প্রতি মন ধান ১৪৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ভাবে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হচ্ছে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও