ময়মনসিংহ ব্যুরো : সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তির আশায় কিস্তি প্রদান, সদস্যদের নিঃস্ব করে মূলধন নিয়ে ম্যানেজারের পলায়ন, অত:পর সিপিএসসি-র্যাব ১৪ এর গোয়েন্দা জালে মূলহোতাসহ দুই জন আটক করেছে র্যাব। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে র্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার বাদী মোছাঃ ফারহানা খাতুন (২৩) এর দায়েরকৃত অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে,বিবাদী মোঃ সাজেদুল ইসলাম (৫০) ও তাসলিমা আক্তার (৩৫) প্রতারক প্রকৃতির লোক। তারা জনশক্তি নামক ঋণ প্রদানকারী অফিসের বড় পোস্টে চাকরি করে মর্মে ভুয়া পরিচয় দিয়ে মিথ্যা আশ্বাস এবং জাল নথিপত্র তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে কিস্তির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নিত। বাদী ফুলবাড়িয়া আছিম বাজার শাখায় জনশক্তি অফিসে মাঠকর্মী হিসাবে চাকুরী করে। এই সুবাদে বিবাদীদ্বয়ের সাথে বাদীর পরিচয়। বিবাদীদ্বয় সহজ শর্তে ঋণ দেবার আশ্বাস দিলে বাদীসহ সমিতির অন্যান্য মাঠকর্মীরা বিগত এক বছর ধরে (এপ্রিল ২০২৪ হতে এপ্রিল ২০২৫) ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম গ্রামের ১৪ শত সদস্যদের নিকট থেকে প্রায় বিরাশি লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বিবাদীদের দেয় । পরবর্তীতে বিবাদীদ্বয় বলে যে ২০২৫ সালের মে মাসের ১ম সপ্তাহে সদস্যদের ঋণ দিবে। গত ২৪/০৪/২০২৫ খ্রি. সকাল অনুমান ১০ ঘটিকায় বিবাদী মোঃ সাজেদুল ইসলাম এর মোবাইলে ফোন করলে বলে যে আপনাদের কাজ চলমান। বিবাদীদ্বয়কে অফিসে আসার কথা বললে বিবাদীদ্বয় অফিসে আসবে বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। বিবাদীদ্বয় বাদীর সাথে প্রতারণা করে বিরাশি লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী অধিনায়ক, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ বরাবর উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, অধিনায়ক, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর নির্দেশনায়, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের অপররেশন অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নাজমুল ইসলাম, (পিপিএম-সেবা) এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল শুক্রবার (২মে) রাত অনুমান ১১ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা প্রতারক মোঃ সাজেদুল ইসলাম (৫০)’কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে মোঃ সাজেদুল ইসলাম (৫০) এর প্রদত্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকা হতে এই প্রতারক চক্রের অপর সদস্য তাসলিমা আক্তার (৩৫) তাহমিনা কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।