• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
দুই বড় বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ মোহাম্মদপুরের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর প্রধান টুন্ডা বাবু গ্রেপ্তার মুরাদনগরে এক পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: অভিযোগ তারা মাদক কারবারি শিবচরে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ফল ও ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় ডোবায় ঝাঁপ দিলেন কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২ ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ: কোন কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কতজন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে যেতে হলে সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন: আমীর খসরু বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত : আলী রীয়াজ

১৩ নারী ফৃটবলালের বেতন সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার করে বৃদ্ধি

প্রভাত রিপোর্ট / ৩২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

প্রভাত স্পোর্টস: বর্তমানে বাফুফে ক্যাম্পে আছেন ৪৫ নারী ফুটবলার, যার মধ্যে আছেন সিনিয়র ৪ জন এবং ভুটানের লিগে খেলতে যাওয়া আরও ১০ জন। মোট ১৩ জনের বেতন সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার করে ধরায় অন্যদের অনেকেই নাখোশ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী ফুটবলার বলেছেন, আমরা প্রতিদিন ঘুম বাদ দিয়ে ভোর পাঁচটায় অনুশীলন করতে যাই। ম্যাচ খেলি। আর বেতন বাড়ল তাঁদের, যাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টাকা তো আমাদেরও দরকার।
গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর নারী ফুটবলে জেঁকে বসা সংকট শেষে খানিকটা আলোর দেখা মিললেও হঠাৎ একাংশের বেতন বৃদ্ধি নতুন সংকট তৈরি করে কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
এখনো ক্যাম্পে সিনিয়র আপুরা আমাদের নানাভাবে শাসন করে। তারা কোনো কিছু আমাদের সামনে বলে না। এবার যে তাদের বেতন বাড়াল, এটাও আমরা জানি না। তারা অনুশীলন বর্জন করেছে, কোচকে বাদ দেয়ার কথা বলেছে। তারপরও এমন পুরস্কার (বেতন বৃদ্ধি) পেল। নাম প্রকাশ না করা শর্তে গত সোমবার গণমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এক খেলোয়াড়।
গত ৩০ জানুয়ারি বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন সাবিনা খাতুনসহ জাতীয় নারী দলের কয়েকজন ফুটবলার। তাঁরা জানান, বাটলারকে কোচ রাখলে তাঁরা অনুশীলনে যোগ দেবেন না। সবাই একযোগে অবসরের হুমকিও দেন। এরপর জল গড়ায় অনেক দূর। তাঁদের অনুশীলনে ফেরাতে বাফুফের বহু কর্মকর্তা সাবিনাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। খোদ বাফুফে সভাপতিও একাধিকবার মিটিং করে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের জায়গা থেকে সরেননি।
এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ৩৬ জনের সঙ্গে চুক্তি করে বাফুফে। বিদ্রোহ করা ১৮ জনকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬ জনের সঙ্গে চুক্তি করার উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের অনুশীলনে ফেরানো। তবু তাঁরা অনড় ছিলেন। সর্বশেষ ১৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তারের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্রোহ শেষ করার কথা বলেন। এর মধ্যেই ছুটির ঘণ্টা পড়ে! সবাই ক্যাম্প ছেড়ে চলে যান ছুটিতে৷
ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল অনুশীলন শুরু করেন পিটার বাটলার। শুরুর এক দিন পর সেই অনুশীলনে যোগ দেন কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ১৮ ফুটবলারের ১৩ জন। তহুরা ছুটিতে থাকায় পরদিন অনুশীলন শুরু করেছিলেন। ভুটানে থাকায় অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি ঋতুপর্ণা, মনিকা, সুমাইয়া ও সাবিনা। আর অনুশীলনে যোগ দিয়ে ভুটানে যান কৃষ্ণা, মাসুরা, রুপনা, সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিদ্রোহ করা ১৮ জনের মধ্যে ঢাকায় থাকা ৮ জনের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। ভুটানের যাওয়া ১০ জন ফিরলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলে ভুটানে থাকা ১০ জনকেও চুক্তিতে আনা হয়।
যতদূর জানা গেছে, ১৮ বিদ্রোহীর মধ্যে বাফুফের ক্যাম্পে থাকা ৮ জনের সঙ্গে চুক্তি করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরই তড়িঘড়ি করে ভুটানে থাকা ১০ বিদ্রোহীর সঙ্গেও চুক্তি করে বাফুফে। শুধু চুক্তিই নয়; যাঁরা দিনের পর দিন অনুশীলন বর্জন করেছেন, কোচকে বাদ দেয়ার কথা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ১৩ জনের বেতন ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার করেছে ফেডারেশন।
যে ১৩ জনের বেতন বেড়েছে, তাঁরা হলেন সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, রুপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শামসুন্নাহার সিনিয়র, নিলুফা ইয়াসমিন, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী ও মাসুরা পারভীন।
সাধারণত পারফরম্যান্স বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আলাদাভাবে এই ১৩ জনের বেতন কেন, কী কারণে বাড়ানো হলো—এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি মাহফুজা আক্তার। মঙ্গলবার (৬ ম) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ১৩ জনের বেতন ৫ হাজার টাকা করে বেড়েছে। দেখেন, আমি এটা নিয়ে মিডিয়ায় ব্রিফ করব। এ কারণে ফোনে বলব না।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও