আজ
|| ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
এখনও চাল পাননি লক্ষ্মীপুর জেলার ২৮ হাজার জেলে
প্রকাশের তারিখঃ ৮ মে, ২০২৫
প্রভাত সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর: নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সরকারি চাল পাননি লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় ২৮ হাজার জেলে। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা ছিল। জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় নিবন্ধিত ৩৮ হাজার ৫৭৫ জন জেলে রয়েছে। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞাকালীন খাদ্য সহায়তার চাল পাবেন ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলে। তারা দুই ধাপে ৮০ কেজি করে ১৬০ কেজি চাল বরাদ্দ পাবেন। এর মধ্যে মার্চে প্রথম ধাপের চাল বিতরণ করা হলেও দ্বিতীয় ধাপেরটি এখনও বরাদ্দ আসেনি। যদিও ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে বেসরকারি হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ৬০ হাজার জেলে রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞাকালে জেলায় ২৭৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩২টি মামলায় ৯৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২০ লাখ মিটার জাল, ৬৪টি মাছ শিকারি নৌকা ও দেড় টন মাছ জব্দ করা হয়।
করাতিরহাট এলাকার জেলে বাদশা মিয়া বলেন, ‘নদীতে গিয়ে জ্বালানি তেলের খরচও ওঠে না, ইলিশ নেই। জালে ছোট দুই-একটি ইলিশ ধরা পড়ে। কিছু পাঙাশের পোনা, ছোট পোয়া ও ট্যাংরা মাছ পাওয়া যায়। সব জেলে চাল পায় না। মেম্বারদের খরচ দিলে তালিকা নাম দেয়।’ সদরের চররমনী মোহন গ্রামের জেলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমরা মাছ ধরা ছাড়া অন্য কাজ করতে পারি না। নিষেধাজ্ঞার সময়ের জন্য সরকার ৮০ কেজি চাল দেয়। এখনো পুরোটা পাইনি।’
লক্ষ্মীপুর জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা ব্যাপারী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার দুই মাস ঘিরে ৪ মাসের জন্য দুইবারে সরকার চাল দেয়। কিন্তু এখনও দ্বিতীয় ধাপের চাল আসেনি। এতে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।’
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘জেলেদের দ্বিতীয় ধাপের চাল এখনও বরাদ্দ আসেনি। আসলে দ্রুত তা বিতরণ করে দেবো। বিগত সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরাদ্দের চাল আসতো। এবার মন্ত্রণালয় থেকে এখনও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.