শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া: বাগেরহাটের কচুয়ায় চলমান তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবনযাপন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। অপর দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়েছে ডায়রিয়া, আমাশা ও জ্বর-সর্দি,কাশিতে আক্রান্ত রোগী। সোমবার (১২মে) দুপুরে এই উপজেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা শ্রমজীবী মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে কমপক্ষে ৩৫ জন রোগী। ডায়রিয়া জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে ২০০ জন রোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে ৫৫ জন। এরমধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৫জন রোগী ।
চিকিৎসা নিতে আসা বাধাল-আফরা গ্রামে এনামুল পাইক জানান, প্রচন্ড গরমে ও রোদে ধান শুকানোর কাজ করে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তার প্রচন্ড জ্বর হয়েছে সেই সাথে মাথা বেথা ও আছে। মসনী গ্রামের ভ্যানচালক আলম শেখ জানান, রাস্তায় না বের হলে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে, তাই বাধ্য হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড রোদ ও গরমে ভ্যান চালাতে হচ্ছে।
স্থানীয় দিন মজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, প্রচন্ড গরমে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও জীবিকার তাগিদে তারা বাধ্য হচ্ছেন কাজ করতে।‘গরমে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, কিন্তু কাজ না করলে খাব কী?’ মাথার ওপর তীব্র রোদ, কোথাও বাতাস নেই, তবু কাজ করতে হয়। অনেক কৃষক হিটস্ট্রোকের আশঙ্কায় ভুগছেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাঃ মনিসংকর পাইক বলেন, হাসপাতালেও তীব্র গরমে ডায়রিয়া সহ পানিবাহীত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। খোলা স্থানের খাবার ও শরবত পানি পান কার থেকে বিরত থাকতে হবে। চলমান তাপদাহে সকলকে পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ বিশ্রাম নিতে হবে। পানি শুন্যা রোধে খাবার স্যালাই খাওয়া, ঘরের বাহিরে ছাতা ব্যবহার, যথা সম্ভাব ঠান্ডা স্থানে থাকা সহ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কম বের হতে হবে।