প্রভাত স্পোর্টস: ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে থাকছে ক্রিকেট। ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে খেলবে ৬টি করে দল। কোন ছয়টি দল খেলবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘুরছে এর চেয়েও বড় প্রশ্ন—ওয়েস্ট ইন্ডিজে তো ১৩টি স্বাধীন দেশ, তাহলে অলিম্পিকে খেলবে কোন দেশ? ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলতে একটি দল বোঝানো হয়। যে দলে জ্যামাইকা, বার্বাডোজ, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, গায়ানাসহ মোট ১৫টি দেশ ও ভূখণ্ডের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে খেলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নিয়ম অনুযায়ী, অলিম্পিকে খেলতে পারে শুধু স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে কোনো দলের খেলার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে কোন দেশটি লস অ্যাঞ্জলেসে খেলবে? এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে চিঠি লিখেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লুআই)।
সিডব্লুআইয়ের সভাপতি কিশোর সোয়ালো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলের অ্যাথলেটরা অলিম্পিকে তাঁদের নৈপুণ্য দিয়ে বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের যেন সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা না হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি স্বাধীন–সার্বভৌম দেশকে সুযোগ করে দিতে দুটি সমাধান প্রস্তাব করেছে সিডব্লুআই। ১. ওয়েস্ট ইন্ডিজে অভ্যন্তরীণ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে একটি দ্বীপ দেশকে বেছে নেয়া। ২. সার্বভৌম সদস্যদেশগুলোর জন্য আইসিসি কর্তৃক একটি বাছাইপর্ব আয়োজন করা। আইসিসি এখন পর্যন্ত ঠিক করেনি লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের জন্য দল কীভাবে চূড়ান্ত করা হবে। সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে দল ঠিক করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছেলেদের দল পঞ্চম এবং মেয়েদের দল ষষ্ঠ স্থানে আছে। অবশ্য স্বাগতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলকে ২০২৮ অলিম্পিকে যুক্ত করা হলে র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ দলটিও জায়গা পাবে না।
তবে র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থাক বা বিশ্বব্যাপী বাছাইপর্ব চলুক, সিডব্লুআই চায় ক্যারিবীয় অঞ্চলের একটি স্বাধীন দেশ অলিম্পিকে সুযোগ পাক। এ ক্ষেত্রে আইসিসিকে অলিম্পিক চার্টারের ন্যায্যতা ও সর্বজনীনতার মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে তারা।
বর্তমানে অলিম্পিকের বেলায় যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, সেটি ছিল ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসেও। বার্মিংহামে হওয়া আসরটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছিল বার্বোডাজ। দেশটিকে বাছাই করা হয়েছিল আঞ্চলিক টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ব্লেজের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে।
অলিম্পিকে এখন পর্যন্ত একবারই ক্রিকেট দেখা গেছে। ১৯০০ সালে প্যারিসের সেই আসরে একমাত্র ম্যাচে ফ্রান্সকে ১৫৮ রানে হারিয়ে সোনা জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন।