আজ
|| ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
ব্যান্ড কাকতাল-এর সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ মে, ২০২৫
প্রভাত বিনোদন: যাত্রার ৪ বছরের মাথায় ‘আবার দেখা হবে’, ‘গোলকধাঁধা’, ‘সোডিয়াম’সহ অনেক গান দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে খ্যাতি পাওয়া ব্যান্ডদল ‘কাকতাল’ তাদের পথচলার ইতি টেনেছে। ব্যান্ডটি তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রায় চার বছরের এক দুর্দান্ত যাত্রা ছিল আমাদের- সেটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের ভালোবাসা ও পাশে থাকার জন্য। এই যাত্রায় আমরা অনেক ভালোবাসা, প্রাপ্তি আর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি যা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। আমরা আশা করি, আমাদের গানগুলো আপনাদের স্মৃতির পাতায় কিছুটা হলেও জায়গা করে নিতে পেরেছে।’
বিদায়ের কারণ হিসেবে ব্যান্ডটি জানিয়েছে, যেই শান্তির খোঁজে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটিই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এখন এই পথচলার ইতি টানার সময় এসেছে। সবশেষে ব্যান্ডটি লিখেছে, ‘আমরা সবাই যেন নিজ নিজ জীবনে সেই শান্তিটুকু খুঁজে পাই।’
ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল আসিফ ইকবাল অন্তু জানান, ‘কাকতাল একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। তবে আপাতত কোনো কার্যক্রম চলছে না। যদি সবকিছু ঠিক হয়ে যায়, তবে আবার কাকতার ফিরে আসবে।’ তবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কোনো কিছু পরিষ্কার করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে আসিফ ইকবাল অন্তু এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কারাগারে থেকেই কাকতালীয়ভাবে ব্যান্ডটির জন্ম। প্রায় দুইশ-আড়াইশ গান জেলে বসেই কম্পোজ করেছে ব্যান্ড কাকতাল।
জানা যায়, মিথ্যা মামলায় ৭ বছরের সাজা পাওয়া যুবকের (আসিফ ইকবাল অন্তু) মাধ্যমে গঠিত হয় কাকতাল ব্যান্ডটি। সঙ্গে ছিল আরও কিছু কারাবন্দি। সেই সময় কারাগার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, সৃজনশীল কাজের মধ্যে কারাবন্দিদের নিয়োজিত করা। সে সময় কিছু বাদ্যযন্ত্র কারাগারে আনা হয়। ধীরে ধীরে বাদ্যযন্ত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় আসিফ কারাগারেই তৈরি করেন ‘মননচর্চা’ নামের এক সংগঠন। যাদের কাজ হলো, সৃজনশীল কাজের প্রচার এবং সুষ্ঠু মননচর্চার ভেতর দিয়ে বন্দিদের সংশোধান করা। আর এরই ফলশ্রুতিতে জন্ম নেয় ‘কাকতাল’।
২০২১ সালে কারামুক্তি ঘটে আসিফ ইকবাল অন্তুর। এরপর স্বাধীনভাবে যাত্রা শুরু করে কাকতাল। প্রথম দিকে এই ব্যান্ডের কোনো লাইনআপ ছিল না। কারণ কারাগারে যারা ছিল, তারা কেউ হয় সাজামুক্তি পেয়েছে, কেউ পায়নি। এই ব্যান্ডের স্থায়ী সদস্য তখন একজন আর তিনি হলেন আসিফ ইকবাল অন্তু!
পূর্ণমাত্রায় আত্মপ্রকাশ করার পর ব্যান্ড কাকতালের সদস্যরা ছিলেন– আসিফ ইকবাল অন্তু (ভোকালিস্ট ও গিটার), নাজেম আনোয়ার (বাঁশি), অ্যালেক্স জোভেন (ড্রামস ও পারকাশন), সৌম্য অনিন্দ্য ঋদ্ধ (বেস গিটার)। এছাড়া, অন্তর ও জাভেদ ছিলেন এই যাত্রায়।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.