হাবিবুর রহমান, ডেমরা : স্বাস্থ্যবিধী মেনে ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রেখে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটের ঈদুল আযহার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইজারাদার মো. আমির হোসেনের সঞ্চালনায় শুক্রবার বাদ আছর মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে ওই হাটের এ কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ৮৫ বছরের ঐহিত্যবাহী সারুলিয়া গরুর হাট নামে এ হাটটি রাজধানীর দু’টি স্থায়ী সরকারি পশুর হাটের একটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য মো.মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, ডেমরা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডেমরা থানা বিএনপি নেতা মো. হানিফ মিয়া, ডেমরা থানার শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, ডিএসসির ৬৮ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মো. লিটন খন্দকার মেম্বার, যুবদল নেতা ইয়াসিন হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মিলন খন্দকার, ডেমরা থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌফিকুর রহমান শাওনও, ডিএসসিসির ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব মো. আব্দুল বারেক, ডিএসসির ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আসাদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এম.এ বাশার মনিরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ও
সরেজমিন দেখা গেছে, এই হাটে গরু আসা শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। এ বছরও সুষ্ঠু ও সুশৃংখলভাবে হাট পরিচালনায় আলাদা মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়কে সামনে রেখে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধা অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ পরবর্তী সময়ে হাটকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের পশু ব্যবসায়ী ছাত্তার বেপারি বলেন, বাব দাদার আমল থেকে সারুলিয়া গরুর হাটে পশু বিক্রি করে আসছি। তবে ইজারাদার এবারও হাটে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছেন বলে আমরা ঝুঁকিমুক্ত কার্যক্রম করতে পারব।
এ বিষয়ে ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া পরশুর হাটের ইজারাদার মো. আমির হোসেন বলেন, আজও এ হাটটি অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবন সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পাইকার ও পশু ব্যবসায়ীদের জন্য আস্থার প্রতীক এ হাট। হাটে আসা কি তা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা রেখেই এ হাটের ঈদুল আযহার কার্যক্রম শুরু করলাম। এখানে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। এ বছরও শতকরা ৫ টাকা হাসলি ধার্য করা হয়েছে সকলের সুবিধার্থে।