• বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

কারখানার ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত

প্রভাত রিপোর্ট / ১৩ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

জাহাঙ্গীর আলম শেখ ,গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড পোশাক কারখানার আটতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিক জাকির হোসেন (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ওই কারখানার শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে শ্রমিকরা ওই কারখানা ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশের সাঁজোয়াজান এবং কারখানা ভাংচুরের চেষ্টা করে। বাধা দেয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জাকির হোসেন (২৫) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুরের নয়নপুর (নতুন বাজার) এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড পোশাকর কারখানায় চাকরি করতেন। সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ছাদ থেকে পড়ে আহত হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, জাকির হোসেন কারখানা থেকে ছুটি চেয়েছিল। পরে ছুটি দেয়া যাবে না বলে এক কর্মকর্তা তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তবে কোন কর্মকর্তার কাছে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন তা জানাতে পারেননি। পরে তিনি কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল রাত থেকে কারখানায় পুলিশ অবস্থান করছিলেন। সকালে শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও করে কারখানায় ভাংচুরের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উত্তেজিত শ্রমিকেরা প্রতিরোধের মুখে পুলিশের একটি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) গাড়িতে ভাংচুর চালান। শ্রমিকেরা আরো দাবি করেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ শ্রমিকদের উপর হঠাৎ কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড পোশাক কারখানার সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (এজিএম) জুবায়ের এম বাশার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে জাকির কয়েকদিন যাবত হতাশায় ছিলেন। ওই শ্রমিক পারিবারকি হতাশাগ্রস্ত থেকে আট তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছুটি চাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (শ্রীপুর জোন) আব্দুল লতিফ বলেন, শ্রমিকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের ৯ জন পুলিশ সদস্য ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন। শ্রমিকরা আমাদের একটি এপিসি গাড়ি ভাংচুর করেন। কাঁদানো গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে সেনা সদস্য, শিল্প পুলিশ, থানার পুলিশ উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও