আজ
|| ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
সরে দাঁড়াচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচ স্টিড
প্রকাশের তারিখঃ ৪ জুন, ২০২৫
প্রভাত স্পোর্টস: গত এপ্রিলের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গ্যারি স্টিড। টেস্টে কোচের দায়িত্বে থাকবেন কি না, তা নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সেটাও জানা গেল।
চলতি মাসের শেষে চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সফলতম এ কোচ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) তিন সংস্করণের জন্য একজন কোচ নিয়োগ করতে চায়। ২০১৮ সালের মাইক হেসনের কাছ থেকে নিউজিল্যান্ড দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সাত বছরে দারুণ সব সাফল্য উপহার দিয়েছেন স্টিড। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জয়, ২০০০ সালের পর যেটা নিউজিল্যান্ডের প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা। সাদা বলে তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা এবং ভারতের মাটিতে ৩-০ তে টেস্ট সিরিজ জয়। তাঁর অধীন এসব অর্জন, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক।
সাদা বলের সংস্করণে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্টিড হয়তো চেয়েছিলেন লাল বলে কোচের দায়িত্ব পালন করে যেতে। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছু সময়ও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) তিন সংস্করণের জন্য একজন কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্টিডও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর বিদায়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সফল এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হতে চলেছে, যা দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্টিডের অধীন ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। দম আটকানো সেই ফাইনালে বাউন্ডারির হিসাবে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় কিউইরা। এরপর ২০২১ সালে স্টিডের অধীন ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে নিউজিল্যান্ড। সে বছরই নিউজিল্যান্ড খেলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার পর গত বছর স্টিডের অধীন প্রথম দল হিসেবে ভারতকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। স্টিডের অধীন সর্বশেষ এ বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড।
বিদায় ঘোষণায় স্টিড বলেছেন, ‘গত সাত বছরে অনেক অসাধারণ স্মৃতি জমা হয়েছে, যা তৈরি হয়েছে একদল অসাধারণ ও প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে কাজ করে। এই মানুষগুলো দেশের জন্য, একে অপরের জন্য এবং ভক্তদের জন্য সব সময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
নিজের অধীন নিউজিল্যান্ড দলের পারফরম্যান্স নিয়ে স্টিড বলেন, ‘তিনটি সংস্করণেই প্রতিযোগিতামূলক হতে পারাটা দারুণ এক ব্যাপার ছিল। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, প্রতিপক্ষ অন্তত এটুকু বুঝতে পেরেছিল যে ব্ল্যাকক্যাপস এমন একটি দল, যারা কখনো সহজে হারে না।’
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.