প্রভাত ডেস্ক: ইরান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলকে সহায়তার পরিণাম হিসেবে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের যে সামরিক ঘাঁটি ও জাহাজ রয়েছে, সেগুলোয় হামলা করা হবে। ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইসরায়েলকে সহায়তা করলে তাদের ছেড়ে কথা বলবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান।
দেশটি বলেছে, ইসরায়েলকে সহায়তার পরিণাম হিসেবে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের যে সামরিক ঘাঁটি ও জাহাজ রয়েছে, সেগুলোয় হামলা করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে। মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনী ইতোমধ্যেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করতে সাহায্য করেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও গতকাল শুক্রবার বলেছিলেন, তার দেশ ইরানের প্রতিশোধের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
তবে যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তাদের বাহিনী ইসরায়েলকে কোনো সামরিক সহায়তা দেয়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ইরানের এই হুমকি বাস্তবায়িত হলে তা হবে একটি বড় জুয়ার মতো। এতে পশ্চিমা সামরিক বাহিনী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে গত শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ম্যাককয় পিট সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘কোনো সরকার-সমর্থিত গোষ্ঠী বা স্বাধীনভাবে কাজ করা কেউই যেন মার্কিন নাগরিক, ঘাঁটি বা অন্য কোনো অবকাঠামোতে হামলা না করে। তাহলে ইরানের পরিণতি হবে শোচনীয়।’
শনিবার (১৪ জুন) তেহরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইরানও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ইসরায়েল দৃশ্যত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে চায়। তবে ইরান বলেছে, ইসরায়েলের আকস্মিক এ হামলার জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
স্থানীয় সময় আজ সকালে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয় ও বহু মানুষ আহত হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খমিনিকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকে, তবে ‘তেহরান পুড়বে’।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের ডজনখানেক যুদ্ধবিমান তেহরানে হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরের একটি যুদ্ধবিমান হ্যাঙ্গারেও হামলা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে হামলায় প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু।