আজ
|| ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের শক্তি দেখালেন ‘বুড়ো’ সিংহরা
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ জুন, ২০২৫
প্রভাত স্পোর্টস: পৃথিবীতে কত কিছু বদলে গেছে, বদলে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো বদলায়নি থিয়াগো সিলভা–সের্হিও রামোসদের রক্ষণ সামলানোর সেই পুরোনো দৃঢ়তা। ক্লাব বিশ্বকাপে মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে আবারও নিজেদের শক্তি দেখালেন এই ‘বুড়ো’ সিংহরা। সিলভা ও রামোসের সঙ্গে এই তালিকায় যোগ করা যায় ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফাবিওকেও। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে ফ্লুমিনেন্স। এই ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে ডর্টমুন্ডকেই ফেবারিট হিসেবেই এগিয়ে রেখেছিল অনেকে। কিন্তু মাঠের খেলায় ছিল পুরো ভিন্ন চিত্র। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে দাপট দেখিয়েছে ফ্লুমিনেন্সই। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ফ্লুমিনেন্সের গোলরক্ষক ফাবিও এবং সেন্টারব্যাক থিয়াগো সিলভা।
আগেই বলা হয়েছে, ফাবিওর বয়স ৪৪ পেরিয়ে গেছে। আর সিলভার বয়স ৪০। অর্থাৎ দুজনের সম্মিলিত বয়স ৮৪। কিন্তু বয়স যেন এই দুজনের কাছে শুধুই সংখ্যা! প্রথমে সিলভার কথাই বলা যাক। ম্যাচে ডুয়েল জিতেছেন ৯ বার, বল ক্লিয়ার করেছেন ৭ বার, এরিয়াল ডুয়েল জিতেছেন ৮ বার। অর্থাৎ অ্যাটাকিং থার্ডে ম্যাচজুড়ে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন কিংবদন্তি এই ব্রাজিলিয়ান সেন্টার ব্যাক।
ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ডরা অবশ্য এরপরও একাধিকবার সিলভাকে পেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। কিন্তু শেষ বাধা অর্থাৎ ফাবিওকে কোনোভাবেই টলাতে পারেননি তাঁরা। যে বয়সে অবসরে গিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে খেলা উপভোগ করার কথা, সেই বয়সে পোস্টের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে তিনটি সেভ করেছেন ফাবিও, যার মধ্যে দুটি ছিল ডাইভিং সেভ। পাশাপাশি ৩২ বারের স্পর্শে বল পুনরুদ্ধার করেছেন ৮ বার। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, মেটলাইফ স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে ডর্টমুন্ডকে নিরাশ করেছেন এই দুজন।
অন্যদিকে মন্তেরই সেন্টার ব্যাক কিংবদন্তি রামোস যেন আরও এক ধাপ ওপরে। শুধু রক্ষণে নয়, আক্রমণেও রামোস ছিলেন অনন্য। আরও স্পষ্ট করে বললে, তাঁর গোলেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলানকে হারের শঙ্কায় ফেলেছিল মেক্সিকান এই ক্লাব। ম্যাচের ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে মন্তেরইকে এগিয়ে দেন রামোস। পরে অবশ্য লাওতারো মার্তিনেজের গোলে সমতা ফেরায় ইন্টার। পরে ১–১ গোল সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রক্ষণেও রামোস ছিলেন দুর্দান্ত। ম্যাচে এই স্প্যানিশ কিংবদন্তির ৩৪টি পাসের ৩১টিই ছিল সঠিক। এ ছাড়া ১১টি ক্লিয়ারেন্সের পাশাপাশি ব্লক করেছেন ২ বার এবং জিতেছেন ৪টি ডুয়েলও।
সব মিলিয়ে বয়স ৩৯ পেরোলেও এখন নিজের দিনে প্রতিপক্ষকে একাই থামিয়ে দিতে পারেন রামোস। ক্লাব বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও তাঁর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা থাকবে মন্তেরেই সমর্থকদের।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.