• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

৪৫ বছর আগেই জিয়াউর রহমান দেশে আণবিক শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন : ড. মঈন খান

প্রভাত রিপোর্ট / ১৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ৪৫ বছর আগেই জিয়াউর রহমান দেশে আণবিক শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাদা দল ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উন্নয়নের নয়, উৎপাদনের রাজনীতি করেছেন। উন্নয়নের রাজনীতির কথা তিনি বলতেন তবে তার টার্মিনলজি ছিল উৎপাদনের রাজনীতি।
উৎপাদনের রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় তিনি আমাদের সাথে আণবিক শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশে ৪৫ বছর আগেই আণবিক শক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। যে রূপপুর নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করছি, সেটা নিয়ে সেই সময় আলোচনা হয়েছিল। রূপপুরের প্রকল্পটা পাকিস্তানের সময় গৃহীত হয়েছিল কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি বাংলাদেশের প্রথম রিসার্চ রিঅ্যাক্টর জিয়াউর রহমানের সময়ে হয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে। তিনি যে শিক্ষানুরাগী ছিলেন সেটি তার হিযবুল বাহারে মেধাবীদের নিয়ে যে সমুদ্রযাত্রা প্রমাণ করে। মঈন খান বলেন, অনেকেই বলে শহীদ জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্ট থেকে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেশের মানুষকে সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে যারা নিজেদের জনগণের দল বলে মনে করে তারা কেন জাতিকে পরিকল্পিতভাবে মূর্খ করে রাখতে চেয়েছিল?
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকা কিন্তু অস্ত্রের কারণে শক্তিশালী দেশ হয়নি। তারা মেধার ভিত্তিতে শক্তিশালী। যদি সারা বিশ্বের এক হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করা হয় তাহলে সেখানে ৭০/৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকার। শহীদ জিয়া উন্নয়ন উৎপাদনের কথা বলতেন। তিনি বাস্তবমুখী শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতির জীবনে এমন কোনো খাত নেই যেখানে তার অবদান নেই।
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাদা দলের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক এম এ কাউসার।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এসএম সোহাগ আউয়াল, সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক আক্তার হোসেন খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এটিএম আব্দুল বারী ড্যানিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, ডিন, প্রভোস্টসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও