• শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন সংবিধান বদলাতে হবে, বর্তমান সংবিধান আওয়ামী সংবিধান : হাসনাত আব্দুল্লাহ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না: নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে সরকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ইসরাইলের পিআর পদ্ধতি কেন আলেমদের আদর্শ হলো, বুঝে আসে না: প্রিন্স জাপানে শিক্ষাবৃত্তি ও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত, গেজেট প্রকাশ তিতাসে পাওনা টাকার জেরে রাজমিস্ত্রীকে হত্যা, দুই যুবক গ্রেপ্তার দুই বড় বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

সেই সাজানো গল্প, ইরানকেও ইরাক বানাতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রভাত রিপোর্ট / ১৮ বার
আপডেট : রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: বাইশ বছর আগে ইরাক আক্রমণের আগে দেশটির হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধারণা এবং সেই অস্ত্র মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারেÍএমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে। এবারও একেবারেই বিনা উসকানিতে ইরান আক্রমণের পর একই অজুহাতে ইসরায়েলের দোসর হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ সংঘাতে জড়িয়েছে। রবিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়। অথচ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সদস্যরাষ্ট্র। তাদের এই কর্মসূচি সব সময় নজরদারির মধ্যেই থাকে। তবু সম্ভাব্য পারমাণবিক সক্ষমতার অভিযোগেই ইরানের ওপর বিধ্বংসী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিপরীতে এনপিটিতে সই না করা ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিধর দেশ। তারা কখনোই আইএইএকে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলছেন, ইসরায়েলকে বারবার জানানো হয়েছে যে ইরানের পরমাণু বোমা বানানোর ইচ্ছা নেই। একই কথা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানালে তুলসী ‘ভুল’ জানেন বলে মন্তব্য করেন।
এ দিকে, গতকাল ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মোসাদ বলছেÍইরান ১৫ দিনের মধ্যে পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম আর মার্কিন সংস্থাগুলো বলছে অন্তত এক বছর লাগবে।
এমন ‘ধোঁয়াশাপূর্ণ’ পটভূমিতে গত ২০ জুন দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনের শিরোনামে প্রশ্ন রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্র ইরাক যুদ্ধে ‘ভয়াবহ ভুল’ করেছিল। একই কাজ কি ইরানের ক্ষেত্রেও করতে যাচ্ছে? প্রতিবেদনে আরও বলা হয়Íপ্রায় ২০ বছর আগে যখন মার্কিন কর্মকর্তারা ইরাক আক্রমণ করা উচিত হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তখন তাদের মনে একটাই প্রশ্ন ছিলÍসাদ্দাম হোসেনের হাতে কি গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে? যদি থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেগুলো ধ্বংস করা এবং সামরিক হামলার মাধ্যমে বাথ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তারপর যা ঘটেছিল তা বিশ্ববাসীর জানা।
ইরাক বা সাদ্দাম হোসেনের হাতে কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইরাক ও হাজার বছরের সমৃদ্ধ শহর বাগদাদ ধ্বংস করে ইরাকিদের চরম দুর্দশার ভেতর ফেলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা বুঝতে পারেনÍতাদের ‘ভুল’ হয়ে গেছে। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া ইরাক যুদ্ধ বা দ্বিতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে চলে ২০১১ সাল পর্যন্ত। বলা বাহুল্য, এর রেশ চলছে এখনো। সেসময় ইরাকে হামলা হয়েছিল রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের নির্দেশে। আবারও কি সেই ‘ভুল পথে’ হাঁটছে মার্কিন প্রশাসন? এবারও হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের দশম দিনে অন্তত এ কথা বলা যায় যে, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ও সামরিক দিকগুলো বিবেচনায় নিলে ইরানকে নিশ্চয় ‘ইরাক’ বলা যাবে না। সবাই জানেন যে ১৯৮১ সালের ৭ জুন ইসরায়েলের আটটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রায় এক হাজার ১০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আচমকা ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে ওসিরাকে হামলা চালায়। ফরাসিদের তৈরি ওসিরাকের রিঅ্যাকটরটি ধ্বংস করে। সেখানে পরমাণু বোমার জন্য প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতে পারে এমন ধারণার ভিত্তিতে ইরাকের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এরপর দেশটি আর সে পথে এগোয়নি। এ ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলের নিন্দা করেছিল।
ইরানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দেশটি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করে ১৯৬৮ সালে। এরপর ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা অনুমোদন করে ইরান নিজেকে পরমাণু বোমামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে তেহরান বারবার বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বেসামরিক। এটি গবেষণা ও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য। চুক্তি অনুসারে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএ নিয়মিত ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আসছে।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই না করা ও পরমাণু বোমার অধিকারী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে অন্য কোনো দেশকে পরমাণু রিঅ্যাকটর বসাতে দিতে নারাজ। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো ২০১৫ সালে চুক্তি করে। ইরান চুক্তি মেনে চললেও প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন। ফলে চুক্তিটি অকার্যকর হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের পথে হাঁটতে শুরু করে ওয়াশিংটন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প পরমাণু নিয়ে ইরানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির জন্য আলোচনার নির্দেশ দেন। সেই আলোচনা পঞ্চম দফা পর্যন্ত গড়ায়। ষষ্ঠ দফা শুরুর ঠিক আগে ইসরায়েল আচমকা ইরানের ওপর হামলা শুরু করে। উদ্দেশ্যÍইরানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংস করা। যদিও এর সঙ্গে তেহরানে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছে তেল আবিব।
ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযান ২০০৩ সালে শুরু হয়ে চলেছিল ২০১১ সাল পর্যন্ত। তারপরও তা শেষ হয়নি। এখনো ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি আছে। সেই ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান-সমর্থিত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর হামলা মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়। সেই হিসাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে এখনো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে পারেনি। ঠিক তেমনি ইরানেও কি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র? আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে,ইরানিদের একটি অংশ বর্তমান শাসকবিরোধী হলেও তারা আগ্রাসন বা বিদেশি হামলার বিপক্ষে। আর চলমান প্রেক্ষাপটে সেখানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব আরও জোরালো হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,ইরানিরা তাদের দেশে ইসরায়েলের এই আক্রমণ ভুলবে না। যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে যোগ দিলে ইরান মার্কিনিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। এর ফলে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত রূপ নিতে পারে। এই সংঘাত চলতে পারে আরও অনেক বছর। যদি তাই হয়, তাহলে প্রশ্ন জাগেÍযুক্তরাষ্ট্র কি একই অজুহাতে ইরানকে ধ্বংস করে ‘ইরাক’ বানানোর পথে হাঁটবে?
সর্বশক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার : ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘গুরুতর ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। পাশাপাশি এই ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তাসনিম বার্তা সংস্থার বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বকে ভুলে গেলে চলবে না যে, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে এখন ইরানের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক যুদ্ধ চালাচ্ছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিয়ম বা নৈতিকতা মানে না। গণহত্যাকারী ও দখলদার এক শাসন ব্যবস্থার লক্ষ্য পূরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনো আইন বা অপরাধের তোয়াক্কা করে না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন ও এই দুষ্কৃতিকারী শাসনের অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের অধিকার সংরক্ষণ করে। প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’
সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে আহত ৮৬: ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ৮৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রবিবার (২২ জুন) ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা মাঝারি পর্যায়ের, ৭৭ জনের অবস্থা ভালো এবং চারজন তীব্র মানসিক আতঙ্কের কারণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনজনের অবস্থা এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এই হামলায় ইসরায়েলের তেলআবিব শহর প্রধান লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় পুরো শহরজুড়ে জরুরি অবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, শনিবার রাতে ইসরায়েলে ২০তম দফার হামলায় মোট ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের বহু-ওয়ারহেডবিশিষ্ট ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে অবতরণের সময়ও ওয়ারহেড নিয়ন্ত্রিত করা যায় এবং এটি নানা ধরনের উচ্চ বিস্ফোরক ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়ারহেড বহন করে। আইআরজিসি আরও জানিয়েছে, ইরানের সামরিক ক্ষমতার বড় অংশ এখনও ব্যবহারই করা হয়নি। এতে আরও বড় হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না তেহরান।
ফোর্দো থেকে বেশিরভাগ ইউরেনিয়াম অন্য স্থানে সরানো হয়েছিল: ইরানের একটি সূত্রের বরাতে মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সাইটে মজুদ থাকা বেশিরভাগ ইউরেনিয়াম স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং ফোর্দোসহ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্থানান্তরিত ইউরেনিয়ামের সঠিক অবস্থান জানানো হয়নি। এর আগে রবিবার (২২ জুন) ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর ভারী বোমা হামলা চালায়। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সফল আক্রমণ’ চালিয়েছে। হামলার পর ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদিও জানিয়েছেন, ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা অনেক আগেই খালি করে ফেলা হয়েছিল এবং হামলায় কোনো ‘অপরিবর্তনীয় ক্ষতি’ হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে মোহাম্মাদি লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরান আগে থেকেই প্রত্যাশা করেছিল। তাই সেটি আগেই খালি করা হয়েছে। তিনি আরও লেখেন, দুইটি বিষয় নিশ্চিত: প্রথমত, জ্ঞানকে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা যায় না এবং দ্বিতীয়ত, এবার জুয়াড়িরা হারবে।
ইরান ফিরবে কীভাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তাঁর দেশকে আলোচনায় ‘ফিরতে’ ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের আহ্বানের জবাব দিয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ইরান যেটা ছেড়ে আসেনি, সেখানে ফিরবে কীভাবে?’
আব্বাস আরাগচি লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহে, আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছিলাম, তখন ইসরায়েল তা ভেস্তে দেওয়ার পথ বেছে নেয়। এরপর এ সপ্তাহে এসে, আমরা ইইউর (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে বসেছিলাম। তখন যুক্তরাষ্ট্র সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ভেস্তে দেওয়ার পথ বেছে নেয়।’ ওই পোস্টে আরাগচি আরও লেখেন, কাজেই আপনি কী উপসংহার টানবেন? যুক্তরাজ্য এবং ইইউর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির কাছে, ইরানকে আলোচনার টেবিলে ‘ফিরে আসতে হবে’ বলা হচ্ছেÍ কিন্তু ইরান কীভাবে এমন কিছুতে ফিরে যেতে পারে, যা কখনও ছেড়ে আসেনি, কিংবা ভেস্তে দেয়নি?’ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ বলেছেন, আমরা ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে এবং চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও