• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
তিতাসে পাওনা টাকার জেরে রাজমিস্ত্রীকে হত্যা, দুই যুবক গ্রেপ্তার দুই বড় বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ মোহাম্মদপুরের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর প্রধান টুন্ডা বাবু গ্রেপ্তার মুরাদনগরে এক পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: অভিযোগ তারা মাদক কারবারি শিবচরে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ফল ও ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় ডোবায় ঝাঁপ দিলেন কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২ ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ: কোন কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কতজন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে যেতে হলে সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন: আমীর খসরু বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ

প্লাস্টিকের অব্যবস্থাপনায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস

প্রভাত রিপোর্ট / ১৮ বার
আপডেট : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশের বিষ। এটি পৃথিবীর সব প্রাণীর জন্য বিষ, শুধু মানুষের জন্য নয়। ঘটনাটি ধীরে ধীরে হচ্ছে বলে আমরা আমলে নিচ্ছি না। পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে, বাংলাদেশেও মানুষ বাড়ছে। তার সঙ্গে জনপ্রতি প্লাস্টিক বিষের পরিমাণও বাড়ছে। তাই প্লাস্টিকের বিষ থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে আনার প্রধান উপায় বর্জন করা। এর উৎপাদন বন্ধ করলে দুনিয়া অচল হয়ে যাবে এমন নয়। অর্থনৈতিক লাভের জন্য পরিবেশের ক্ষতি করে যাব এমন আত্মবিধ্বংসী চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত হতে হবে। জীবন বাঁচাতে হলে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে এর কোনো বিকল্প নাই। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহারের কারণে জলবায়ু, প্রকৃতিগত ও জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রাত্যহিক জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩১টি পুরস্কার দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির জন্য এবছর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেননি। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
ফারহিনা আহমেদ জানান, এবছর ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪ দেওয়া করা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ (ব্যক্তি পর্যায়ে) তেঁতুলিয়া পঞ্চগড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলামকে দেওয়া হয়। তিনি ডাস্টবিন এবং বিভিন্ন বাজার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইক্লিং করার জনসচেতনতা তৈরি, পরিত্যক্ত জমিতে গাছ লাগানো ইত্যাদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করে পরিবেশ রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন।
পরিবেশবিষয়ের শিক্ষা ও প্রচারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মো. মনির হোসেন চৌধুরীকে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি তার সাহসিকতা দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ইনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম বনভূমি ও দখল করা নদী খাল-বিল উদ্ধারসহ পরিবেশ সুশাসন রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং তার পরবর্তী জীবনেও শিক্ষা প্রসার এবং রিসার্চসহ বিভিন্ন লেখালেখি ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে অবদান রাখছেন।
পরিবেশবিষয়ক গবেষণা প্রযুক্তি অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ (তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা পরিবেশ প্রকৌশলী ও গবেষক) তার অসামান্য কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। তিনি বাটারফ্লাই ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য নিরন্তর রিসার্চ, সংরক্ষণ ও সচেতনতার কাজে অবদান রেখেছেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে স্লোটেক্সআওয়ার লিমিটেডকে পুরস্কৃত করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব ইটিপি এবং জিরো ওয়েস্ট জেনারেশনের লক্ষ্যে কাজ করছে । তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে তোফাজ্জল হোসেন পুরস্কার নেন। পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা প্রচারে অবদানের জন্য ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের গাউস পিয়ারিকে (প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শিক্ষা ও প্রচারে তাদের অসামান্য উপাদানের জন্য) স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই, গাজীপুর) পক্ষে ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আকন্দের পুরস্কার নেন। এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এবং নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরন্তর অবদান রেখে যাচ্ছে। এছাড়া বৃক্ষরোপণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২১টি পুরস্কার এবং বন্যপ্রাণীর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চারটি পুরস্কার দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও