আজ
|| ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২১শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
কমেডি ছবি টুইনস শোয়ার্জেনেগারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ জুন, ২০২৫
প্রভাত বিনোদন : নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার অভিনীত সিরিজ ‘ফুবার’-এর দ্বিতীয় কিস্তি। সিরিজের প্রচার উপলক্ষে সম্প্রতি অ্যান্ডি কোহেনের শো ‘ওয়াচ হোয়াট হ্যাপেনস লাইভ’-এ হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানে তিনি কথা বলেছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা নিয়ে। শোয়ার্জেনেগারের দেয়া তথ্য শুনে চমকে গেছেন অনেকেই। অভিনেতা জানান, ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কমেডি ছবি টুইনস নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা! বক্স অফিসে ‘টার্মিনেটর’ ফ্র্যাঞ্চাইজি যতটা সফল হোক না কেন, টুইনস থেকে যা আয় হয়েছে, তার ধারেকাছেও নাকি আর কোনো ছবি আসতে পারেনি। শোয়ার্জেনেগার বলেন, টুইনস-এর জন্য আলাদা কোনো পারিশ্রমিক নিইনি, তবে ছবির লভ্যাংশে ভাগ ছিল। দারুণ এক চুক্তি।
কোহেন যখন জানতে চান, এ ছবি থেকে তিনি ২০ মিলিয়নের বেশি আয় করেছিলেন কি না, তখন শোয়ার্জেনেগার বলেন, এর চেয়েও বেশি। এরপর কোহেন জানতে চান, ৪০ মিলিয়নের বেশি? উত্তরে অভিনেতা বলেন, হ্যাঁ, আরও বেশি। এটা আমার করা যেকোনো ছবির চেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে।
সিনেমাটিতে যমজ ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার ও ড্যানি ডিভিটো। শোয়ার্জেনেগার তখন অ্যাকশন হিরো হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। ‘টার্মিনেটর’, ‘প্রিডেটর’ কিংবা ‘কোনান দ্য বারবারিয়ান’ করা অভিনেতার জন্য কমেডি ছিল একেবারেই ভিন্ন কিছু।
অভিনেতা জানান, অ্যাকশন সিনেমায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কাজটা সহজ ছিল না। শোয়ার্জেনেগারের ভাষ্যে, ‘তারা বলত, “এই লোক পর্দায় যত মানুষ মারবে, ততই ব্যবসা হবে। কেন আমরা এটা বদলাব?”’
কেউই তখন শোয়ার্জেনেগারকে নিয়ে কমেডি বানাতে চাইছিলেন না, তাই নিজের মতো করে একটি পরিকল্পনা করেন তিনি। ‘আমি বললাম, পারিশ্রমিক নেব না, তাহলে ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়নে ছবিটা শেষ করা যাবে। আমরা ছবির পেছনের আয়ের ৪০ শতাংশ নেব এ চুক্তিই আমাদের জীবনের সেরা চুক্তি ছিল,’ বলেন শোয়ার্জেনেগার।
মুক্তির পর শুধু প্রেক্ষাগৃহ থেকেই ২১৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে ‘টুইনস’। হোম ভিডিও থেকেও আসে বিপুল মুনাফা। তবে এত সাফল্য সত্ত্বেও ছবিটির আর কোনো সিকুয়েল বানাননি শোয়ার্জেনেগার। একটি সিকুয়েলের পরিকল্পনা হয়েছিল, যেখানে এডি মার্ফি যুক্ত হতেন। তবে পরিচালক আইভান রাইটম্যানের মৃত্যুতে তা আর সম্ভব হয়নি।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.