আজ
|| ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
সব হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের বিচার দাবিতে ঢাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের মশাল মিছিল
প্রকাশের তারিখঃ ১১ জুলাই, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ, খুলনার মাহবুবুর রহমানসহ সাম্প্রতিক সব হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ফেডারেশন। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে টিএসসি এলাকায় ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এবং সঞ্চালনা করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিন্নাত আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি আল-আমিন রহমান, ঢাবি শাখার সংগঠক সীমা আক্তার, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক হাসান আল মেহেদী, দপ্তর সম্পাদক অনুপম রায় রূপকসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত আরিফ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল এমন একটি দেশ যেখানে নাগরিক মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। দেশের সর্বত্র খুন, ধর্ষণসহ নানান অপরাধে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় মানুষ হতাশ। বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি যেন হাস্যরসের খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, অন্যথায় জনগণ বিকল্প সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং সহিংসতার বিষয়েও সমালোচনা করেন সৈকত আরিফ। তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাট-বাজার দখল, ব্যবসা-বাণিজ্যে আধিপত্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই এসব সংঘর্ষ প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। বিএনপি শুধুমাত্র বহিষ্কারের মাধ্যমে দায় শেষ করতে চাইছে, যা যথেষ্ট নয়। আমরা বলছি, বহিষ্কারের পাশাপাশি সংগঠনের অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং এজন্য অন্তবর্তী সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর কেউ যদি ভেবে থাকেন বাংলাদেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যাবেন, তবে তারা বড় ভুল করছেন। বাংলাদেশ আর পশ্চাৎমুখী হবে না।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.