আজ
|| ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৭ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
ফিজিওথেরাপি সেন্টারে অভিযান ও হয়রানি বন্ধের দাবি
প্রকাশের তারিখঃ ১২ জুলাই, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: সরকারের প্রতি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে অবৈধ অভিযান ও হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। শনিবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গত ২৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় স্বাস্থ্য অধিদফরের প্রতিনিধিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত ফিজিওথেরাপি সেন্টারে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডিত ফিজিওথেরাপিস্টকে প্রেসক্রিপশন লেখা ও ডাক্তার পদবী ব্যবহার করার অভিযোগে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০’ অনুযায়ী কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
একইভাবে গত ১ জুলাই হবিগঞ্জে একজন সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্টকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ সব ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্টদেররোগী দেখা, প্র্যাকটিস করা ও পদবী নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত এক সপ্তাহে বিপিএ দেশের আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনেছে, ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আদালত অবমাননার শামিল। তিনি বলেন, বিআরসি আইন ২০১৮ এর ধারা ২ এর ১২ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপিস্টরা প্র্যাকটিশনার অর্থাৎ তারা স্বাধীনভাবে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন করেন। আইন অনুযায়ী, রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট হবার যোগ্যতা স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টিতে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি। বিপিএ-এর নেতৃত্বে গত সাত দিন সারা দেশের মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছে, মাঠ পর্যায়ের কেউ ২০১৮ সালের আইরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের নাম জানে না। ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীরা বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের অধীনে এবং রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিট অনুমোদন ও পরিদর্শনের দায়িত্ব যে কাউন্সিলের, এ বিষয়ে অবগত নন। তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে কিছু অসাধু কর্মকর্তা রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারদের রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। প্রশাসন বলছে, ফিজিওথেরাপিস্টদের ওপর বিএমডিসি আইন ২০১০ প্রয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের যে স্টে অর্ডার রয়েছে, সেটিও তাদের জানানো হয়নি ও ম্যাটসদের রায় ফিজিওথেরাপিস্টদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, দ্রুত সময়ে ফিজিওথেরাপি সেন্টারে এসব অবৈধ অভিযান ও হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.