প্রভাত রিপোর্ট: রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে একযোগে দালালচক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় অন্তত ১৫ জন দালালকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে হাসপাতালগুলোর বিভিন্ন অংশে অভিযান শুরু করে তারা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। অভিযানে অংশ নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং সরকারি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই হাসপাতাল এলাকায় বাড়তে থাকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চলাচল। তারা গোপনে নজরদারি করে দালালদের অবস্থান নিশ্চিত করেন। এরপর বেলা ১১টায় যৌথভাবে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম।
অভিযানে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, ফার্মেসি ও গাড়ি পার্কিংয়ের আশপাশে সক্রিয় দালালদের চিহ্নিত করে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হাসপাতালের প্রবেশপথ, রেজিস্ট্রেশন কাউন্টার কিংবা রোগীর স্বজনদের ভিড়ের মধ্য থেকে টার্গেট করে কথা বলেন এবং প্রলোভন দেখিয়ে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার জানান, সকাল ১০টা থেকে আমরা একসঙ্গে এই এলাকার চারটি প্রধান হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করি, এ সময় সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫ জনকে আমরা আটক করেছি। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করছি। আগামী দিনেও আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।