প্রভাত রিপোর্ট: জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের আইনি কোনো বাধা নেই। যদি বাধা আসে তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করবো। শাপলা ছাড়া আমাদের কোনো অপশন নেই। শাপলা ছাড়া বিকল্প নেই। রবিবার (১৩ জুলাই) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ পাঁচ সদস্যের এনসিপির একটি প্রতিনিধি বৈঠকে করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বর্তমান তফসিলে থাকা ৬৯টি প্রতীকের সঙ্গে নতুন আরও ৪৬টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় ‘শাপলা’ রাখা হয়নি। এ সিদ্ধান্তকে প্রহসনমূলক ও পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের তফসিলে প্রতীক যুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক চূড়ান্ত করে। কমিশন ১৫০টির মধ্যে কাটছাঁট করে ১১৫টি প্রতীক তফসিলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত দেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১৫টি প্রতীক আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এতে শাপলা নেই।
গত ২০ জুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে এনসিপি। তারা প্রতীকে প্রথম পছন্দ হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছিল। আবেদনে পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রাখার কথা জানিয়েছিল দলটি। এ তিন প্রতীকের মধ্যে ইসির নতুন তালিকায় রয়েছে কলম ও মোবাইল ফোন। গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তফসিলে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ওইদিনই যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। তবে শাপলা প্রতীক তালিকায় রাখা হয়নি। এর আগে গত ২২ জুন এনসিপি নিবন্ধন আবেদন দাখিলের সময় শাপলা প্রতীক চায়। আবার তার আগে মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ১৭ এপ্রিল একই প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। দুই দলই শাপলা প্রতীক নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করে ইসির সঙ্গে।