আজ
|| ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ জুলাই, ২০২৫
প্রভাত সংবাদদাতা, কক্সবাজার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে। তিনি বলেন, মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এটা সবার পবিত্র দায়িত্ব। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মব-চাঁদাবাজি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইসঙ্গে মাদক কারবারীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স হবে না। এ ছাড়া মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি গ্রহণ করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। তাদের শুধু তারিখে-তারিখে নয়, প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে হবে। জুলাই যোদ্ধাদের অবদানের কারণই আমরা স্বৈরাচারমুক্ত একটি দেশ পেয়েছি।’
কক্সবাজারে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের বিজয় সরণী সড়কের হোটেল শৈবাল সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভটি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ে নিহত ও আহতদের যে অবদান সেটি কখনও টাকা দিয়ে পোষানো যাবে না। তবুও আমরা আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।’ তিনি বলেন, ‘এ স্মৃতি স্তম্ভ শুধু দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য নয় বরং প্রতিনিয়ত জুলাই যোদ্ধাদের অবদান মনে রাখার জন্য। তাদের আত্মত্যাগের স্মারক এটি। এ স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে স্বজন হারানো পরিবারগুলোও যেন স্মৃতিচারণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.