হাসিবুর রহমান, বাগেরহাট: গত দুই সপ্তাহের ভারী বর্ষণে জেলা শহরের খানজাহান আলী রোড, রেলরোড, বাসাবাটি, সাধনার মোড়, পিটিআই মোড়, শালতলা, জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা ও পোস্ট অফিস এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে কোথাও কোথাও।
ভারী বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকা। পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। হাঁটুসমান পানি জমে জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও মানুষ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর, শিক্ষার্থী, দোকানদার ও রিকশাচালকদের।
খানজাহান পল্লী এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, বৃষ্টি হলেই আমরা পানির ভেতরে ডুবে থাকি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এখন ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্টকর। পৌরসভা থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
সাধনা মোড় এলাকার ব্যবসায়ী মো. আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছরই এই কষ্ট সইতে হয়। শহরের কোনো ড্রেন ঠিকভাবে কাজ করে না। বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে, তার ওপর আবার সেগুলো পানির নিচে। হাঁটাও যায় না, বাইক বা রিকশাও চলে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর এলাকার অধিকাংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। খাল-নালা দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হক রিজভী বলেন, এই বর্ষায় পৌরসভার অন্তত ১৫ শতাংশ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নামলে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পৌর এলাকার সাড়ে সাত কিলোমিটার ড্রেনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে মোংলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত) বাগেরহাট জেলায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।