• বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল : নাহিদ ইসলাম

প্রভাত রিপোর্ট / ৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত সংবাদদাতা, ভোলা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার—এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিলেন। মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই বিভাজনকে তোয়াক্কা না করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষের গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার’ ১৫তম দিনে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য হয়েছিল, নতুন বন্দোবস্ত গড়ে তোলার জন্য হয়েছিল। দুর্নীতি, বৈষম্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাফিয়া সিস্টেমের বিরুদ্ধে। একটা ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য হয়েছিল। আমরা সেই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করছি। আমরা চাই, ভোলাবাসী গণঅভ্যুত্থানের মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, আজকের এইদিনে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী-হায়েনারা আমাদের বোনদের ওপর আক্রমণ করে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে দিল্লির তাবেদার শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই রাজাকার শব্দের প্রতিবাদ জানিয়ে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছিল। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হামলার পর আমাদের ভাই-বোনেরা পিছু হটেনি। আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল শিক্ষক,অবিভাবক ও সাধারণ মানুষ।তিনি বলেন, আমরা সর্বজনের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যে বাংলাদেশ হবে শ্রমিকের বাংলাদেশ, কৃষকের বাংলাদেশ, মধ্যবিত্তের বাংলাদেশ, আমজনতার বাংলাদেশ। তিনি এও বলেন, আমরা জানি ভোলার মানুষকে উন্নয়ন ও সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বিছিন্ন করে রাখা হয়েছে যুগের পর যুগ ধরে। আধুনিক যুগেও ভোলার মানুষকে দূর করে রাখা হয়েছে। আমরা আজকে ভোলায় এসেছি সেই দূরত্ব ঘোচাতে, ভোলার মানুষকে আপন করে নিতে।
ভোলা সারা দেশের মধ্যে গ্যাস জোগানকারী অন্যতম জেলা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভোলাবাসীকে গ্যাস থেকে বঞ্চিত করা রাখা হয়েছে, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা ভোলাকে একটি স্বনির্ভর-সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে গড়ে তুলব, মর্যাদাবান জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনীম জারাসহ এনসিপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মী, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পথসভায় বক্তব্য দেন শহীদ হাসানের বাবা মনির হোসেন। এর আগে, এদিন দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা জেলা পরিষদ চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি জেলা শহরের বাংলাস্কুল মোড় ঘুরে বরিশাল দালান হয়ে নতুন বাজার হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও