প্রভাত রিপোর্ট : উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার সময় প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম জাহিদের ছেলে সায়ের কিছু সময়ের জন্য নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার (২১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে সেলিম জাহিদ লেখেন, ‘আমার সায়েরকে এখনও খুঁজে পাচ্ছি না। ও মাইলস্টোন মেইন ক্যাম্পাসে ছিল। বিমানটা ঠিক যেখানে ক্র্যাশ করেছে।’
তবে দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সায়েরকে উদ্ধার করা হয়। সেলিম জাহিদ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টার অপেক্ষা ও উৎকণ্ঠার পর আমার ছেলেকে পেয়েছি। সে ক্লাসরুমেই ছিল। ভয় আর আতঙ্কে কক্ষেই লুকিয়ে ছিল সে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে উদ্ধারকারীদের সহায়তায় তাকে ক্লাস থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একেবারে সামনের সড়কে ঘটায় শিক্ষার্থীরা সরাসরি সেই দৃশ্যের মুখোমুখি হয়। এতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে নিজেদের আটকে রাখে।
দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে সে নিজ শ্রেণিকক্ষে (ক্লাসরুম) লুকিয়ে ছিল। উদ্ধারকারীরা তাকে সেখান থেকে বের করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখান থেকেই ছেলেকে খুঁজে পান সেলিম জাহিদ।
সেলিম জাহিদ বলেন, ‘ঘটনার সময় সে ক্লাসের ভেতরে ছিল। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং কক্ষেই আটকে যায়। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকে খুঁজে পায় এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে নিরাপদে আছে।’ বর্তমানে সেলিম জাহিদের ছেলে শারীরিকভাবে সুস্থ আছে বলে জানা গেছে, তবে মানসিকভাবে এখনও বেশ আতঙ্কিত।
উল্লেখ্য, উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের মাইলস্টোন কলেজের সামনে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।