• বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

মাইলস্টোনে অপ্রতুল নিরাপত্তা, উৎসুক মানুষের চাপ

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট : রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল। উৎসুক মানুষের চাপে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কারণ সেখানে পরিদর্শন করতে আসা উৎসুক মানুষের সমাগম বাড়ছে। দিনভর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ না যাওয়ায় বিরাজ করছে হযবরল অবস্থা।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে সরেজমিন এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরও একই চিত্র সেখানে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় তেমন না থাকলেও বিকাল ৫টার পর মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। এর বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কে।
অপরদিকে সাংবাদিকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। ভেতরে হাতেগোনা কিছু নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও বাইরে তেমন নেই। তাই যে যেভাবে পারছেন বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষটি দেখার জন্য অনিয়মতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে বিধ্বস্ত ভবনের সামনে টিনের চালায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠায় যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন দর্শনার্থীদের কেউ কেউ।
স্থানীয় দোকানি হাসান আহমেদ বলেন, দিনে প্রচণ্ড রোদ এবং অনেকের কাজ থাকায় বিকালে মানুষের এমন চাপ দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
অপরদিকে অসংলগ্ন তথ্য দিলেও ভুঁইফোড় গণমাধ্যমগুলোর কতিপয় প্রতিনিধি যার-তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। কেউ বলছেন ৩০ জন মারা গেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন কয়েকশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে নানা ধরনের বিভ্রান্তি বাড়ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে অবস্থানরত একজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান, প্রশাসন বা সরকারের উচ্চপদস্থ কেউ থাকলে এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করতো না। বিশেষ করে নামসর্বস্ব গণমাধ্যমগুলোর দৌরাত্ম্য কমতো। তাছাড়াও সেখানে প্রথম দিন থেকেই তথ্য বুথ থাকলে সবার জন্যই সহায়ক হতো।
উৎসুক জনতার একজন হাসনা বেগম বলেন, আমার এলাকার পার্শ্ববর্তী তারাকান্দার তিন জন শিক্ষার্থী এখানে মারা গেছেন। গত দুদিন আসতে পারিনি। তাই আজ এলাম। বিধ্বস্ত ভবনটির সামনে নিরাপত্তা জোরদার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবশ্য এ নিয়ে সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও