আজ
|| ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি
জলাবদ্ধ জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে করলা চাষে কৃষানীদের সাফল্য
প্রকাশের তারিখঃ ১ আগস্ট, ২০২৫
প্রভাত সংবাদদাতা, দশমিনা: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামসহ ৭টি ইউনিয়নের কিষানীরা জলাবন্ধতা যুক্ত কৃষি জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে বাঁশের মাঁচায় বিষমুক্ত সবজি করলা চাষ করে সফলতা অর্জন করছে। কম খরচে করলা চাষ করে কিষানীরা দ্বিগুন লাভ করছে। উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে করলার চাহিদা বেশী থাকায় কিষানীরা এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছে। করলা চাষে লোকসানের সম্ভাবনা তেমন নেই। ফলে উপজেলার কিষানীরা নতুন নতুন পদ্ধতিতে করলা চাষের দিকে ঝুঁকছে। বর্ষা মৌসুমে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে কিষানীরা মাঁচা পদ্ধতি ব্যবহার করছে। বর্ষাকালে ফসলি জমি পানিতে ডুবে থাকায় কিষানীরা বাঁশের মাঁচায় সবজি ফসল করলা চাষের দিকে ঝুঁকছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে জমিতে সবজি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। ফলে উচু কৃষি জমি এবং জলাবদ্ধ জমির উপর বাঁেশর মাঁচা তৈরি করে সবজি ফসল করলা চাষ করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কিষানীরা মাঁচা তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গছানী ও দাশপাড়া, সদরের লক্ষèীপুর ও কাটাখালী, রণগোপালদীর আউলিয়াপুর, বহরমপুরের দক্ষিন বহরমপুর ও নেহালগঞ্জ, বেতাগী-সানকিপুরে বড়গোপালদী,আলীপুরার খলিশাখালী ও যৌতা গ্রামের সবজি চাষীরা মাঁচা তৈরি করে সবজি ফসল করলা চাষ করছে। মাঁচায় চাষ করে কিষানীরা বার মাস বিষমুক্ত বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছে। করলা সবজি চাষে ব্যয় কম হওয়ায় কিষানীরা অধিক লাভ করতে পারছে। সবজি হিসাবে করলা একটি লাভজনক ফসল যা অল্প খরচে দ্বিগুন পরিমানে লাভ করা যায়।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, করলা চাষে কিষানীরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করছে। পতিত ও অনাবাদি কিংবা জলাবদ্ধ জমিতে মাঁচা তৈরি করে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কিষানীরা সারা বছরই করলা চাষ করছে।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.