• বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় ‘মঞ্চ ৭১’-এর আত্মপ্রকাশ ক্ষোভের মুখে টিএসসিতে শিবিরের প্রদর্শনী থেকে সরানো হল দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দুর্গাপুরে বিএনপির বিজয় মিছিল গাইবান্ধায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শিবচরে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত কচুয়ায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত সোনাইমুড়িতে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আনন্দ র‍্যালি ও আলোচনা সভা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ

ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা

প্রভাত রিপোর্ট / ৮ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথা বলেছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিন রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে সম্প্রচার করেছে। এর আগে আজ বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তিনি। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি এ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
সংস্কার, বিচার ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান—এই তিনটিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ বলে ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা। নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর তিন দিনের মাথায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলন–কর্মসূচিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ দেখা দিলে লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১৩ জুন ওই বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে সরকার। এরপর আজ জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে, অর্থাৎ ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা।
সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে এ দেশের সব নাগরিক একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার কাজে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চান প্রধান উপদেষ্টা। সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে। সে জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করতে আগামীকাল থেকেই মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণে ১৫ বছর ধরে নাগরিকবৃন্দ ভোট দিতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে আমরা আমাদের বকেয়া আনন্দসহ মহা আনন্দে ভোট দিতে চাই। এবারের নির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে যাবে, এ রকম ভোটাররা নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে তাদের এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য। এর মধ্যে নতুন নারী ভোটার থাকবে, নতুন পুরুষ ভোটার থাকবে। এর মধ্যে এমন ভোটার থাকবে, যারা ১৫ বছর আগে থেকেই ভোট দিতে পারত, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। এর মধ্যে আসবে যারা ১০ বছর আগে, ৫ বছর আগে ভোট দিতে পারত, কিন্তু পারেনি। আর আসবে ভাগ্যবান ও ভাগ্যবতীর দল, যারা এই প্রথমবার ভোটার হওয়ার যোগ্যতা লাভ করল এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার সুযোগও পেয়ে গেল।’
নির্বাচনের দিনকে ঈদের উৎসবের মতো করতে চান বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এবারের ভোটের আনন্দ থাকবে সবার মধ্যে। আপনারা সবাই বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও