প্রভাত রিপোর্ট: রাজউকের বোর্ড সভায় অংশগ্রহণে কর্মকর্তাদের সম্মানী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সংস্থার ভেতরেই চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগে এই সম্মানী ছিল ৩ হাজার টাকা, যা একলাফে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাসে বর্তমানে একটি সভার ব্যবস্থা থাকলেও তা একাধিকবার হতে পারবে। রাজউকের সর্বশেষ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ৮ জুলাই। সেদিনই নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাজউকের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সভায় বলা হয়, রাজউকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বা পর্যবেক্ষক জনপ্রতি ৬ হাজার টাকা এবং সভায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ৩ হাজার করে টাকা পেয়ে থাকেন। ২০২৫ সালের ৩য় বোর্ড সভায় সাধারণ ও বিশেষ সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সম্মানী বাড়ানোর জন্য মৌখিকভাবে সবাই মতামত দেন। অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মতো রাজউকের বোর্ড সভার অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী বাড়ানো যৌক্তিক। এ প্রসঙ্গে বোর্ড সভায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতি ১২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি অন্য সংস্থাগুলোর কেউ কেউ ১৫ হাজার টাকা সম্মানী নিয়ে থাকেন। তাই রাজউকের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকার প্রস্তাব এসেছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত নয়।’
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, একজন প্রভাবশালী সদস্য যোগদানের পর থেকেই সম্মানী বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। নানা সমালোচনার মুখে তা থেমে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি বোর্ড সভায় পাশ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আলম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সম্মানী বাড়ানোর প্রস্তাব একজন সদস্য উপস্থাপন করলে, আমরা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের শর্তে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনো এটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে কেউ যদি বলেন এটা আমার একার চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত, তাহলে আমি জানি তারা কারা।’