• সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাগরিকাদের ইতিহাস, প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ রাজধানীতে দুর্ধর্ষ ‘ধাক্কামারা’ চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেপ্তার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুর্নীতি প্রশ্রয় দিতেন না : দুদক চেয়ারম্যান সচিবালয়ে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: প্রেস সচিব শিক্ষার্থীরা এআই দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাজারে হামলা চালালে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা সাড়ে পাঁচ বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭ হাজার প্রাণ পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিলে মিলবে পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষার্থীরা ফিরেছেন শ্রেণিকক্ষে হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশে এক বছর পর উল্লাস, সামনে কঠিন পথ

শিক্ষার্থীরা এআই দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

প্রভাত রিপোর্ট / ৪ বার
আপডেট : রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে শিল্প খাতের কোনো সংযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ। তাঁর মতে, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে।’ অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকার এক কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে এমনও দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে বসে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন। রবিবার (১০ আগস্ট ) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’শীর্ষক সংলাপে উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ এ কথা বলেন। সংলাপ আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংলাপে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমে শিক্ষা ও শিল্পের সংযোগ প্রায় শূন্য। তারপরও এটা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। কারণ, দেশে বড় বড় কোম্পানিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর প্রয়োজন আছে। এসব শিক্ষার্থী দক্ষ নন, তাঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও কম। এ জন্য তাঁদের সহজে ম্যানিপুলেট করা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের ব্যবহার করা যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাপদ্ধতির দুর্বলতা প্রসঙ্গে এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, এখানে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক দর্শনের কোর্সের নম্বর ইনপুট করেন। ল্যাব নেই এমন অনার্স-মাস্টার্সের কলেজেও রসায়ন, পদার্থ আর জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় ১০০ নম্বর দেওয়া হয়। অনেক কলেজে ল্যাব থাকলেও সেখানে কোনো কাজ হয় না।
উপাচার্য বলেন, সম্প্রতি ঢাকার এক কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে। আর প্রিন্সিপাল চুপচাপ বসে চা খাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এমন ভয়াবহ অবস্থা চলছে, দায়িত্বশীল শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনটি করে গ্রুপ। সিপিডির সংলাপে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও