• বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দাম কমলো ৩৩ প্রকার প্রয়োজনীয় ওষুধের ভোট সুষ্ঠু না হলে সিইসির গলায় গামছা লাগতে পারে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জনসংযোগ কর্মকর্তাদের চিন্তা-পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে: তথ্যসচিব বাংলাদেশ-চীনের সাংস্কৃতিক বন্ধন নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও ‘অভ্যুত্থান’ দ্বিতীয় দিনে ডাকসু’র মনোনয়ন ফরম নিলেন ১৩ প্রার্থী ১২ দিনে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে পারবে না:শিক্ষা উপদেষ্টা দিলীপ বড়ুয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না দলের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ভয় নয়, সচেতন করতে শূন্য রিটার্নে জেলের বিধান: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রিটার্নে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত ভুল বা অসত্য তথ্য দিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং সচেতন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমরা নতুন কোনো আইন তৈরি করিনি, শুধু বিদ্যমান আইন সম্পর্কে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা খেয়াল করেছি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দোকানগুলোতে শেখানো হচ্ছে কীভাবে শূন্য রিটার্ন দেওয়া যায়। এটা কিন্তু বিপজ্জনক। সেই কথাটাই আমরা বলতে চেয়েছি। যখন আপনাদের ফাইলটা অডিটে পড়বে তখন আপনারা কোনো জবাব দিতে পারবেন না। কেননা, সব তথ্যই মিথ্যা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অসত্য তথ্য দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেই বিষয়টাই আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি। আমরা বরং করদাতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার লোক অনলাইনে ট্যাক্স দিচ্ছে। এটা আসলে সচেতনতা তৈরি করার একটা অংশ। নিশ্চয়ই এরমধ্যে কোনো ভয়ভীতির কিছু নেই, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান খান বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত কাগজে-কলমে নেয়া হয়নি। যেসব কর্মকর্তা সীমা লঙ্ঘন করেছেন, শুধু তাদের বিরুদ্ধে শোকজসহ কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণহারে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেনি এবং সরকারও চায় না তার জনবল ত্যাগ করতে। শুধু সেই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যারা মিডিয়ার সামনে আদেশ ছিঁড়ে ফেলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও