• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে

প্রভাত রিপোর্ট / ৮২ বার
আপডেট : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ হবে জেলার পুলিশ লাইনে ও মহানগর এলাকায়। অতিরিক্ত আইজিপি, কনস্টেবল সবার প্রশিক্ষণ হবে। প্রথম দফায় পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আর জেলাগুলোতে ১০ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে ডিসেম্বরে শেষ হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণ হিসেবে রাখতে চাচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর। শিগগির নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়া হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি জোরালো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া সব পুলিশ সদস্যের তথ্য জোগাড় করছে পুলিশ সদর দপ্তর। তাদের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক যোগ’ আছে কি না, সেদিকে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। পুলিশের স্বজনরাও নজরের বাইরে নয়। সপ্তাহখানেক আগে পুলিশের সব ইউনিটপ্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ওসিদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, তালাশে তথ্য গোপন করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। অবাধে ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে সহযোগিতা করতে হবে। পুলিশের জন্য ৫০০ যানবাহন ও বিপুলসংখ্যক গোলাবারুদ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো দেশের বাইরে থেকে আসবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। নির্বাচনে পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকবেন পুলিশ সদস্যরা। দ্রুত পুলিশের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। নির্বাচনের আগে বড় ধরনের অভিযান শুরু হবে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়।’
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাব মহাপরিচালক দ্রুত সময়ে নিযুক্ত হন। পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগ দেন। ছাত্র-আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতার ফলে পুলিশ সদস্যরা ট্রমায় পড়ে যান। এখনো আতঙ্ক কাজ করে বলে রাতের বেলায় পালাক্রমে ও জোট বেঁধে রাস্তায় টহল দেন। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গত এক বছরে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছে বর্তমান সরকার। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, পুলিশ আইন ও প্রবিধান সংশোধন, অবকাঠামো ও জনবল বৃদ্ধি, ফৌজদারি ও দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পুলিশ মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। যদিও এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশ-বিদেশে। পুলিশও এ সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না বলে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষক হিসেবে চাইছে পুলিশ সদর দপ্তর। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয় হওয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অনুরোধ করব যাতে কমিশনের কর্মকর্তারা পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও