আজ
|| ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
জঙ্গিসহ ৭০০ আসামি এখনো পলাতক : কারা অধিদপ্তর
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ আগস্ট, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: জঙ্গিসহ বিভিন্ন মামলার ৭০০ আসামি এখনো পলাতক বলে জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, লুট হওয়া ২৮টি অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কারা অধিদপ্তর কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে বন্দিদের সহায়ক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে। ধারণক্ষমতার অধিক বন্দি থাকায় নতুন ২টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৪টি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে বলেও জানান।
কারা হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে বন্দিদের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারাগার থেকে বন্দিরাও মাঝে মাঝে কারা মহাপরিদর্শককে ফোন করে থাকেন।
তিনি বলেন, কারাগারের ভেতর বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ঘটনা নতুন নয়। এসব মোবাইল ফোন উদ্ধারেও বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এমনকী কারাগারের ভেতর থেকে বন্দিরা কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজন) ফোন দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দিরা আমাকে অনেক সময় ফোন দেয়। মূলত আরেকজনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তারা ফোন দেয়, যারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ে অনেক সময় অভিযান চালানো হয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি অস্বীকার করতে পারবো না, কারাগারে ফোন যায় না। তবে আমরা অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।
কারাগারে মাদকের বিস্তার রোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে অনেকটা রিকভার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না। আমরা মাদকের বিষয়ে অনেক কঠোর। এমনকি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেপ্তার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়, যাতে করে তারা মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে। এমনও বন্দি এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পাওয়া গেছে।
আইজি প্রিজন বলেন, আমরা এখনো শতভাগ সফল নই, তবে উন্নতি করেছি। এমনকী মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের বিষয়ে আমরা অনেক কঠোর। মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প করে ধরা পড়ছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরের বাসা থেকে রান্না করে দেওয়া খাবার বন্ধ করা হয়েছে।
কারাগারগুলোকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত এক বছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প ধরা পড়ছে। তবে আগের থেকে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.